২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৌদির সেই মেয়েটি এখন ‘দারুণ সাহসী এক নতুন কানাডীয়’

টরোন্টো এয়ারপোর্টে রাহাফকে স্বাগত জানান কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড - ছবি : আল জাজিরা

পালিয়ে ব্যাংকক বিমানবন্দরে অবস্থান নেওয়া সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ মুতলাক আল-কুনুন শেষ পর্যন্ত শরণার্থী হয়ে কানাডায় পৌঁছেছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, কানাডা সরকার ১৮ বছর বয়সী এই সৌদি তরুণীকে আশ্রয় দিতে রাজি হওয়ার পর ব্যাংকক থেকে সিউল হয়ে শনিবার কানাডা পৌঁছান তিনি।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড সাংবাদিকদের সামনে রাহাফকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘দারুণ সাহসী এক নতুন কানাডীয়’ হিসেবে।

তবে গত কয়েক দিনের পরিস্থিতি আর দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে রাহাফ ‘ক্লান্ত’ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই তরুণী এ মুহূর্তে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন না।

এর আগে কানাডায় রাহাফকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘কানাডা বরাবরই দ্ব্যার্থহীনভাবে মানবাধিকার এবং বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার। জাতিসঙ্ঘ যখন আমাদের কাছে রাহাফ আল-কুনুনকে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ করেছে তখন আমরা তাতে রাজি হয়েছি।’

পরিবারের সাথে কুয়েত ভ্রমণে থাকার সময় গত ৪ জানুয়ারি পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন ১৮ বছরের তরুণী রাহাফ।

কুয়েত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ব্যাংকক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তার অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট ধরার কথা ছিল।

কিন্তু ব্যাংকক বিমানবন্দরে সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক তার সাথে দেখা করে তার পাসপোর্ট জব্দ করে বলে দাবি রাহাফের।

জোর করে কুয়েতে ফেরত পাঠানো হতে পারে- এই আশঙ্কায় নিজের অবস্থার কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নেন তিনি।

৬ জানুয়ারি বিমানবন্দরের হোটেল কক্ষে বসে টুইটারে নিজের ও পাসপোর্টের ছবি দিয়ে রাহাফ বলেন, কুয়েতে পাঠানো হলে তার পরিবার তাকে সেখান থেকে সৌদি আরব নিয়ে গিয়ে হত্যা করবে।

ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করায় পরিবার তার ওপর ক্রুদ্ধ বলেও টুইটারে জানান এই তরুণী। সৌদি আইনে ধর্মত্যাগের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।


আরো সংবাদ



premium cement