১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খাশোগি ইস্যুতে সৌদি রাজপরিবারের ক্ষতি চান না এরদোগান

বাদশাহ সালমান ও এরদোগান - ছবি : সংগ্রহ

সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকারীদের তুরস্কে ফেরত পাঠাতে সৌদি আরবের কাছে আবারো দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান। তবে একইসাথে তিনি বলেছেন, এই ইস্যুতে সৌদি আরবের রাজপরিবারের কোনো ক্ষতি করার ইচ্ছা নেই তার। শনিবার আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এই দাবির কথা তুলে ধরেন তিনি। 
এরদোগান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যেকোনো প্রশ্ন তোলা ঠেকাতে হত্যাকারীদের তুরস্কে বিচার করা আবশ্যক। যারাই এই নৃশংস অপরাধের নির্দেশ দিয়েছে ও বাস্তবায়ন করেছে তাদের পরিচয় প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন। যদি মূল হোতাদের বের করা না যায় তাহলে পুরো ইসলামি বিশ্ব সন্তুষ্ট হবে না।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, খাশোগির দেহাবশেষ সম্পর্কে তথ্য দিয়ে তুরস্কের প্রসিকিউটরদের সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদি হত্যাকারী দলের স্থানীয় সহযোগিতাকারীদের পরিচয়ও প্রকাশ করছে না কর্তৃপক্ষ। এরদোগান বলেন, খাশোগির হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে তিনি সৌদি আরবের রাজপরিবারের কোনো ক্ষতি করতে চান না।
কিন্তু তিনি সম্মেলনে সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচনা করেছেন। সম্মেলনে খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের ব্যাখ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন। সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ বলেছেন, ‘প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আপনারা সৌদি আরবকে দায়ী করতে পারেন না।’

এরদোগান বলেন, অবশ্যই আইনগত দিক দিয়ে এটা বৈধ। কিন্তু তার নিজের কর্মকর্তাই স্বীকার করেছেন এটা ছিল পরিকল্পিত অভিযান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, সম্মেলনে একমাত্র কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খাশোগি হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তিনি নিজেও বিষয়টি তুলেননি। তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানিয়েছেন, যুবরাজের সাথে একান্ত বৈঠকে তারা খাশোগি হত্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে আঙুল উঠে খোদ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডের খবর অস্বীকার করা হয়। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করলেও এর সাথে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার খবর অস্বীকার করা হয়। ওই ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ।


আরো সংবাদ



premium cement