বাবা সম্পর্কে খাশোগির ২ মেয়ের স্মৃতিচারণ
- ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৮
জামাল খাশোগি তার কর্মজীবনে বহুমুখী কাজ করে থাকলেও, তার মেয়েদের কাছে তিনি ছিলেন কেবলই ‘বাবা’। গত শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্টের মতামত অংশে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে খাশোগির দুই মেয়ে নোহা খাশোগি ও রাজান জামাল খাশোগি বাবার সাথে তাদের স্মৃতিচারণ করেন।
খাশোগির স্মৃতি এখনো তাদের বুকে তাজা। তারা বলেন, ‘কত দীর্ঘ সময় ধরে তিনি চলে গেছেন, তা কোনো ব্যাপার নয়; বরং আমরা আবারো দেখতে চাই তাকে, যিনি প্রশস্ত বাহু বাড়িয়ে আলিঙ্গনের জন্য অপেক্ষা করছেন।’ বিষয়টি তিক্তমধুর হলেও আমরা ছোটবেলা থেকেই জানতাম যে, বাবার কাজ আমাদের পরিবার ছাড়িয়েও অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তিনি এমনই একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যার কথাগুলো মানুষের মধ্যে বড় মাপের প্রভাব ফেলে।
প্রবন্ধে নোহা ও রাজান তাদের বাবার কাজের ব্যাপারে গর্ব অনুভবের কথাও লিখেন এবং বলেন, যেসব লোকজন তাকে দেখত, তারা বাবার প্রতি সমীহ ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করত। বাবার অবশ্যই একটি বাস্তব বা প্রায়োগিক দিক ছিল, কিন্তু তার স্বপ্ন ও লক্ষ্যের মধ্যে তিনি সবসময় বাস্তবতার একটি আদর্শগত সংস্কারের জন্য সংগ্রাম করতেন। সৌদি সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কন্স্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। প্রথম পর্যায়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, খাশোগি কন্স্যুলেট থেকে বের হয়ে গেছেন। কিন্তু পরে তারা জানায়, কন্স্যুলেটের মধ্যেই খাশোগি নিহত হয়েছেন।
তার নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই নোহা ও রাজান তার ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকেন এবং তারা ভার্জিনিয়ায় তার বাড়িতে যান। তারা বলেন, তার শূন্য চেয়ারটি দেখা আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তার অনুপস্থিতি যেন সব কিছুকে নিস্তব্ধ করে দিচ্ছিল। আমরা তাকে সেখানে বসাবস্থায় দেখতাম, চশমা থাকত কপালে। তিনি কোনো কিছু পড়ছেন বা টাইপ করছেন।
এগুলো কোনো প্রশংসা বা স্তুতি নয় যে, রাষ্ট্র এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা চালাবে। বরং এগুলো হচ্ছে প্রতিশ্রুতি, তার প্রভা কখনো বিবর্ণ হবে না, তার সেই উত্তরাধিকার আমাদের মধ্যে সংরক্ষিত থাকবে। আমরা তার নৈতিক বিস্তার, জ্ঞান ও সত্যের প্রতি তার ভালোবাসা এবং তার ভালোবাসায় সিক্ততা অনুভব করছি। এটি চলতে থাকবে আগামী জীবনে তার সাথে সাক্ষাৎ করার আগ পর্যন্ত।
সূত্র : আনাদোলু
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা