এবার আবুধাবির মসজিদে ঘাতক ইসরাইলি মন্ত্রী!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:১৯, আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৩০
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশ্বাসঘাতকতায় আবুধাবির 'শেইখ জায়েদ বিন সুলতান' মসজিদে বীরদর্পে ঘুরে বেড়ালেন ইসরাইলের ঘাতক মন্ত্রী মিরি রেগেভ। তার মসজিদ পরিদর্শনের ছবি প্রকাশ করে ইসরাইলি গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
তারা এটাকে ইহুদিবাদীদের জন্য বড় বিজয় হিসেবে গণ্য করছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী যখন প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনি মুসলমানদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করছে ঠিক তখনি মুসলিম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত দখলদার মন্ত্রীকে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিলো।
একইসঙ্গে আবু ধাবিতে জুডু প্রতিযোগিতায় ইসরাইলকে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আরব আমিরাত সরকার। এই প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে অংশ নেন ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওই মন্ত্রী। তিনি আমিরাতের জুডু ফেডারেশনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক ও করমর্দন করেন।
ফিলিস্তিনি জাতি এবং গোটা মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত বহু দিন ধরেই দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সব ধরণের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাখঢাক করা হলেও এবার তা করা হয় নি।
ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক ও যোগাযোগ রাখবে না বলে এর আগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে মুসলিম দেশগুলো। সূত্র: পার্সটুডে
আরো পড়ুন : ইসরাইলের যে ফাঁদে আটকা পড়েছে সৌদি আরব
নয়া দিগন্ত অনলাইন , ২৯ অক্টোবর ২০১৮
সৌদি আরব ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানকে ইসরাইল সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে ইহুদিবাদী দৈনিক হারেত্জ খবর দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকতি দেয়ার কারণে সারা বিশ্বেই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চললেও সৌদি আরব তার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। গত এক বছর ধরেই সৌদি আরব ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণত সেসব দেশের শাসকেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, জনগণের মতামত এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায় না। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সৌদি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। সৌদি শাসক গোষ্ঠী বিশেষকরে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসলামবিরোধী এ তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
তবে ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ার মূল কারিগর হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ের জামাই ও উপদেষ্টা জেরাড কুশনার। ইহুদি ধর্মাবলম্বী কুশনার ইহুদিবাদীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যুবরাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে রাসুলের জন্মভূমি সৌদি আরবের ওপর মার্কিন ও ইহুদিবাদী প্রভাব শতভাগ নিশ্চিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু'র দিকনির্দেশনায় ট্রাম্পের মেয়ের জামাই কুশনার এসব তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বর্ণবাদী ইসরাইল সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তারা গোটা মুসলিম বিশ্বের ওপর প্রভাব ফেলতে চায়। তারা গোটা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিতে চায় যে, সৌদি আরব হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের নেতা এবং সৌদি আরব যেখানে ইসরাইলকে মেনে নিচ্ছে সেখানে অন্যদের আর আপত্তি থাকা উচিত নয়। কারণ মুসলমানদের প্রধান দুই পবিত্র স্থান সৌদি আরবে থাকায় মুসলমানদের অনেকের মাঝেই দেশটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এ প্রভাবকেই কাজে লাগাতে চায় ইসলামবিরোধী শক্তি।
এরইমধ্যে সৌদি শাসক গোষ্ঠীর ওপর ইহুদিবাদীরা যে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে গতকাল অনুষ্ঠিত ওআইসি'র শীর্ষ সম্মেলন থেকে। বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে গতকাল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসির যে বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে সৌদি রাজা, যুবরাজ এমনকি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও অংশ নেন নি। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, সৌদি আরব পুরোপুরি ইসরাইলের ফাঁদে আটকা পড়েছে। এর মধ্যদিয়ে সৌদি আরব আসলে মুসলিম বিশ্ব থেকেই নিজেকে আলাদা করে ফেলছে যা কখনোই কোনো মুসলমান প্রত্যাশা করে না
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা