২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরিয়ায় মার্কিন জোটের ভয়াবহ বিমান হামলা

সিরিয়ায় মার্কিন জোটের ভয়াবহ বিমান হামলা । - সংগৃহীত

সিরিয়ার দেইর এল-জুর প্রদেশের একটি মসজিদে বিমান হামলায় সাতজন বেসামরিক নাগরিক মার্কিন সমর্থিত বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে নিশ্চিত করেছে। খবর ডেইলি সাবাহর।

জাভিয়ে মসজিদটি গত সপ্তাহে সিরয়ায় ধ্বংস হওয়া তৃতীয় মসজিদ যা মার্কিন সমর্থিত গ্রুপের বিমান হামলার শিকার। এছাড়া গত এক সপ্তাহে ৫৩ জন বেসামরিক লোক বিমান হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন।

ব্রিটেন কেন্দ্রিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সুউসা গ্রামে বিমান হামলায় ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে আবার দুইজন শিশু। আর শুক্রবারের হামলায় ১৬জনের অধিক নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফান্সের সমর্থিত ওয়াইপিজি/পিকেকে এসব হামলা চালিয়েছে বলে দারণা করা হচ্ছে।  

 

আরো দেখুন : নিশ্চিত পরাজয়কে যেভাবে জয়ে পরিণত করলেন বাশার
বিবিসি; ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫৩

সাত বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের বিপর্যয় ও প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের প্রাণ হারানোর পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে মনে হচ্ছে জয়ের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু কিভাবে এই রক্তাক্ত ও নিষ্ঠুর যুদ্ধে জয়ের মুখ দেখতে চলেছেন তিনি ?

বিবিসির অনুসন্ধানী টিভি অনুষ্ঠান প্যানোরামা এবং বিবিসি আরবি বিভাগের একটি যৌথ অনুসন্ধানে প্রথম বারের মতো দেখা যাচ্ছে, রাসায়নিক অস্ত্র আসাদের যুদ্ধ জয়ের কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।


১. রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার ছিল

বিবিসি মনে করে এটা বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আছে যে সিরিয়ায় ২০১৩ সাল থেকে অন্তত ১০৬টি রাসায়নিক হামলা হয়েছে সিরিয়ায় । ওই বছরই বাশার দেশটির রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ধ্বংস করতে ইন্টারন্যাশনাল কেমিক্যাল উইপনস কনভেনশনে (সিডব্লিউসি) স্বাক্ষর করেছিলেন।

রাজধানী দামেস্কের কয়েকটি শহরতলীতে রাসায়নিক হামলার প্রায় এক মাস পর সিরিয়া সিডব্লিউসি চুক্তি র‍্যাটিফাই করেছিল। এসব হামলায় নার্ভ এজেন্ট সারিন ব্যবহার করা হয়েছিল যাতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়। এ হামলার ভয়াবহ ছবিগুলো বিশ্ববাসীকে স্তম্ভিত করেছিল। পশ্চিমা শক্তিগুলো এজন্য বাশারকে দায়ী করলেও তিনি এর দায় চাপিয়ে দেন বিরোধীদের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনার জেরে সামরিক হামলার হুমকি দিলেও রাশিয়া বাশারকে রাসায়নিক নিরস্ত্রীকরণে উদ্বুদ্ধ করে। অর্গানাইজেশন ফর দ্যা প্রহিবিশন অফ কেমিক্যাল ওয়েপনস্‌ (ওপিসিডব্লিউ) এবং জাতিসঙ্ঘ সিরিয়া সরকারের ঘোষিত প্রায় ১৩০০ টন রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা সত্ত্বেও রাসায়নিক হামলা অব্যাহতই থাকে।

বিরোধী নিয়ন্ত্রিত এলাকার অধিবাসী আবু জাফর বলেন, "রাসায়নিক হামলা ভয়াবহ। বোমা বা রকেট মুহূর্তেই মানুষকে মেরে ফেলছে কিছু বুঝতে না দিয়েই। এটা ধীরগতির মৃত্যু, ডুবিয়ে মারার মতো বা অক্সিজেন না দেয়ার মতো। এটা ভয়াবহ"।

যদিও বাশার দাবি ২০১৩ সালের পর থেকে তাদের হাতে আর রাসায়নিক অস্ত্র নেই।

প্যানারোমা ও বিবিসি আরবি সার্ভিসের রাসায়নিক হামলার বিষয়ে ১৬৪টি রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছে। এসব হামলা পাঁচ বছর আগে সিরিয়া সিডব্লিউসিতে সাক্ষরের পরই হয়েছে।

বিবিসি অনুসন্ধানী দল মনে করে যে তাদের হাতে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে যে ওই ১৬৪টি ঘটনার মধ্যে ১০৬টিতেই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি কারেন পিয়ের্স সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারকে 'ভয়াবহ' আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, "শুধু এর প্রতিক্রিয়ার জন্যই নয়, এটি নিষিদ্ধ অস্ত্র ১০০ বছর ধরে এর ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে"।

সবচেয়ে বেশি রাসায়নিক হামলার হয়েছে ইদলিবে। দামেস্কের কাছে পূর্ব ঘুটা, হামা ও আলেপ্পোতেও বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে বিবিসির কাছে থাকা তথ্য উপাত্তে দেখা যাচ্ছে।

হামা প্রদেশের কাফর জিটা ও পূর্ব ঘুটার দুমাতে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। উভয় শহরেই বিরোধী যোদ্ধাদের সাথে সরকারি বাহিনীর লড়াই হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী রক্তক্ষয়ী একক ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা হয়েছিলো ২০১৭ সালের ৪ঠা এপ্রিল ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে। একদিনেই সেখানে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।


আরো সংবাদ



premium cement