২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যেসব কারণে বিন সালমানের অপসারণ চাইলেন দেশটির ওলামা পরিষদ

মুহাম্মদ বিন সালমান। ওলামা পরিষদের ‍বিবৃতি। - সংগৃহীত

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদকে তার পদ থেকে অপসারণের আহবান জানিয়ে সৌদি স্কলার্স এসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। খবর ইয়ানি শাফাকের।

বিবৃতিটি সৌদি স্কলার্স এসোসিয়েশনের অফিসিয়াল টুইটারে প্রকাশ করা হয়। তারা এই বিবৃতিতে সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমাদের দেশ এখন খাসোগি ঘটনায় খুবই বিপজ্জনক অবস্থানে আছে। আর প্রিন্স সালমান এই ঘটনার জন্য দায়ী। এছাড়াও তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও তাদের জেলে বন্দী করেছেন।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে থেকে দেশটিতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক, এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে বিন সালমান জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করেছে এবং দুর্বল প্রশাসনের কারণে দুর্নীতি বেড়েছে।

সৌদি স্কলার কাউন্সিল দ্রুত একজন নতুন ক্রাউন প্রিন্স নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের আশু মুক্তিদানের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

তবে সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এবিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করেনি।

আরো দেখুন : খাসোগি হত্যা : সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

 ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৩৬

তুরস্কে সৌদি দূতাবাসের ভেতর বিখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে সারা দুনিয়া এখন তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। খাসোগিকে যে দূতাবাসের ভেতর হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে বলা যায় এখন আর কোনো সন্দেহ নেই। এবং সৌদি রাজপরিবারের প্রভাবশালী সদস্যরা এতে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার রীতি। এ প্রেক্ষাপটেই প্রশ্ন জেগেছে, যুক্তরাষ্ট্র কী করবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সৌদি আরবের সব ধরনের অন্যায়ের সাথে আমেরিকার সংশ্লিষ্টতা থাকায় ওয়াশিংটন এ রাজতান্ত্রিক সৌদি সরকারকে কখনোই শাস্তি দেবে না। এ মন্তব্য করেছেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার স্কলার এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার ড. ডেনিস এলটার।


সৌদি সরকার বিরোধী ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোখির রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনায় রিয়াদকে জবাবদিহি করতে হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তাও নাকচ করে দেন তিনি।

গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে জামাল খাশোগি নিখোঁজ রয়েছেন। তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের কাছে থাকা তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বলেছে, সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর খাশোগিকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় এবং পরে তার লাশ টুকরা টুকরা করে গোপনে ওই কূটনৈতিক মিশন থেকে বাইরে নেয়া হয়। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোক পূর্বাভাস দিয়েছে।

ট্রাম্প বলেছিলেন, খাশোগির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পেছনে সৌদি ক্ষমতাসীনদের হাত থাকলে তাদেরকে ‘চরম পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। অবশ্য একইসঙ্গে ট্রাম্প একথাও বলেছিলেন, রিয়াদের কাছে হাজার হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি বাতিল করার ইচ্ছে তার নেই। কারণ, আমেরিকা নিজেই নিজেকে শাস্তি দিতে পারে না।

এলটার বলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যাতে তার এ জঘন্য অপরাধ থেকে পার পেয়ে যান তার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, সৌদি আরবের শক্তিমান পুরুষ বিন সালমান ভাল করেই জানেন যে আমেরিকা এ ঘটনায় বাইরে থেকে কেবল ক্ষোভ প্রকাশ করবে এবং তার মারাত্মক অপরাধের বিষয়ে ওয়াশিংটন কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করবে না। এছাড়া রিয়াদ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রতি ইঙ্গিত করে আমেরিকার এ রাজনৈতিক ভাষ্যকার বলেন, নিজেদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের ভিত্তি থেকে দুই পক্ষ কখনোই দূরে সরে যাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement