২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হচ্ছে না ইদলিব অভিযান, প্রত্যাহার হচ্ছে ভারী অস্ত্র

হচ্ছে না ইদলিব অভিযান, প্রত্যাহার হচ্ছে ভারী অস্ত্র - সংগৃহীত

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে একটি বেসামরিক বাফার জোন তৈরি করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও তুরস্ক। বেসামরিক বাফার জোন ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বিস্তৃত হবে। অস্ত্রমুক্ত জোন বা অসামরিকীকৃত এলাকা আগামী ১৫ অক্টোবরের আগে কার্যকর করা হবে। তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার এ সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান।

সম্প্রতি রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী সোচি শহরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের মধ্যে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তুরস্ক-রাশিয়ার সম্পর্ক, অর্থনীতি ও জ্বালানি ইস্যুসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতেও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সিরিয়া ইস্যু এই আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পায়।

সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, তুর্কি-রুশ সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে উন্নতি করছে। বাণিজ্য খাতে সহযোগিতা ব্যাপক মাত্রায় বাড়ছে। এছাড়া আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও আমাদের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। রাশিয়া এবং তুরস্কের সৈন্যরা বাফার জোনে টহল দেবে। রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যকার এই চুক্তি অনুসারে ইদলিবের বাফার জোন থেকে সমস্ত ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার করা হবে এবং আল-কায়েদার সাথে সম্পর্কযুক্ত জাবহাত ফতেহ আশ-শামের সদস্যদেরকে তুরস্ক সরিয়ে নেবে।

বৈঠকের আগে এরদোগান বলেন, তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার সহযোগিতা এই অঞ্চলের জন্য আশাবাদ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোতে মতবিনিয়ম দুই দেশকেই শক্তিশালী করবে। তার ভাষায়, ‘আমি মনে করি শুধু আমাদের অঞ্চলই নয়, গোটা বিশ্বের চোখ এখন সোচির দিকে।’ সোচির আলোচনার ফলাফল এই অঞ্চলের জন্য নতুন আশা জাগাবে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, ইদলিবে কোনো সেনা অভিযানে অংশ নেবে না তার দেশ। সিরিয়ার সরকার সামিরক অভিযান বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে কিনা -এমন এক প্রশ্নের জবাবে শোইগু বলেন, বিষয়টি নিয়ে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে চুক্তি হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে সিরিয়ার সেনা ও মিত্র যোদ্ধারা ইদলিব অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। 

ইদলিবে চূড়ান্ত সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি

০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটিতে চূড়ান্ত সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিরিয়া ও রাশিয়ার সেনারা। এর বিরোধিতা করে আমেরিকা এবং তার মিত্ররা বলছে, সিরিয়া রাসায়নিক হামলা চালাবে এবং এ ধরনের হামলা হলে দামেস্কের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো হবে। এর আগেও রাসায়নিক হামলার অজুহাত তুলে সিরিয়ার ওপর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে আমেরিকা এবং তার মিত্ররা।

রাসায়নিক হামলার অজুহাতে সিরিয়ার কোনো কোনো স্থানে আমেরিকা ও তার মিত্ররা হামলা চালাতে চায় তার তালিকা প্রকাশ করার জন্য আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সম্ভাব্য বিমান হামলার জন্য পেন্টাগন এরইমধ্যে লক্ষ্যবস্তু ঠিক করেছে বলে যে খবর বের হয়েছে আমেরিকা ও তার মিত্র ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের উচিত সম্ভাব্য সেসব লক্ষ্যবস্তুর তালিকা প্রকাশ করা।

নেবেনজিয়া বলেন, যদি আপনারা বিশ্বাস করেন যে, ওইসব লক্ষ্যবস্তু রাসায়নিক অস্ত্রের গুদাম তাহলে আপনারা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি কিছু সম্মান দেখান এবং রাসায়নিক অস্ত্রের গুদাম সম্পর্কিত তথ্য রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা বা ওপিসিডাব্লিউ-কে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement