২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে ওপেককে ব্যবহারের অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে ওপেককে ব্যবহারের অভিযোগ - সংগৃহীত

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে ওপেক’কে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে ইরান। তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি হোসেইন কাজেমপুর আরদেবিলি এই অভিযোগ করেছেন।

তিনি রোববার বলেন, সৌদি আরব ও আরব আমিরাত ওপেক’কে আমেরিকার ক্রীড়নকে পরিণত করেছে এবং এর ফলে এই সংস্থার স্বকীয়তা শেষ হয়ে যেতে বসেছে।  আরদেবিলি বলেন, একটি সংস্থা হিসেবে ওপেক নিজের পরিচিতি হারিয়ে ধীরে ধীরে একটি ফোরামের আকার ধারণ করছে।

২০১‌৭ সালে ওপেকভুক্ত এবং ওপেক বহির্ভূত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তেল উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমার ব্যাপারে যে সমঝোতায় পৌঁছেছিল তা ভেঙে পড়তে যাচ্ছে বলেও তিনি সতর্ক করে দেন। ইরানের প্রতিনিধি বলেন, ইরাক, আলজেরিয়া ও নাইজেরিয়াসহ কিছু দেশ এরইমধ্যে ওই সীমা লঙ্ঘন করে নিজেদের প্রতিশ্রুত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি তেল উত্তোলন করছে।

হোসেইন কাজেমপুর আরদেবিলি আরো বলেন, এভাবে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করলে বৃহৎ শক্তিগুলো তেলের ভাণ্ডার গড়ে তুলবে এবং এই পণ্যের মূল্য নির্ধারণে ওপেকের আর কোনো ভূমিকা থাকবে না। ঠিক এ কারণেই তেল উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ওপেকে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি বলেন, সৌদি আরব ও রাশিয়া আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের তেলের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছে।

আগামী নভেম্বরে ইরানের তেল বিক্রির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে যাচ্ছে। এ কারণে নভেম্বর আসার আগেই যাতে অন্যান্য দেশ ইরানের তেলের ঘাটতি পূরণ করে সেজন্য মার্কিন সরকার ওপেকভুক্ত দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। অন্যদিকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো স্বেচ্ছায় আমেরিকার সে আশা পূরণ করে দেয়ার চেষ্টা করছে।

এবার ওপেককে তেলের দাম কমাতে বললেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ০৫ জুলাই ২০১৮

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেল উৎপাদনকারীদের সংগঠন অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজকে (ওপেক) তেলের দাম কমাতে বলেছেন।

বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় ওপেককে এখনই তেলের দাম কমানোর কথা বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প লিখেছেন, ওপেকের মনে রাখা উচিত যে গ্যাসের দাম অনেক বেশি এবং তারা কোনো সহযোগিতা করছে না। যদি কিছু তারা করে থাকে তা হচ্ছে মূল্য বাড়াচ্ছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র ওপেকের সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে প্রতিরা দিচ্ছে বিনামূল্যে। লেনদেন দ্বিপীয় হওয়া উচিত। এখনই তেলের দাম কমাও।

এর আগে শনিবার ট্রাম্প জানান, তিনি সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে বলেছেন ইরান ও ভেনিজুয়েলার কারণে সৌদি আরবের তেলের উৎপাদন দিনে আরো ২০ লাখ ব্যারেল বাড়ানো প্রয়োজন। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, সৌদি বাদশাহ তার সঙ্গে একমত হয়েছেন।

তবে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ উভয় রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা রায় পদপে প্রয়োজনের বিষয়ে তারা কথা বলেছেন। এসপিএ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে সম্মতির কথা উল্লেখ করেনি। 

পরে হোয়াইট হাউজও ট্রাম্পের দাবি থেকে কিছুটা সরে আসে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সৌদি বাদশাহ আশ্বস্ত করেছেন প্রতিদিন অতিরিক্ত ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনের মতা রয়েছে রিয়াদের। তবে তা প্রয়োজনে এবং ওপেক ও ওপেকবহির্ভূত মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজে লাগানো হবে।

২০১৬ সালে ওপেক সদস্য ও বৃহত্তম তেল উৎপাদকরা প্রতিদিন তেলের উৎপাদন ১৮ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনতে সমঝোতায় পৌঁছে। গত সপ্তাহে ওপেক দেশগুলো প্রতিদিন উৎপাদন ১০ লাখ ব্যারেল বাড়াতে সম্মত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement