ইউরোপকে ইরানের হুঁশিয়ারি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৪১
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ায় ইরানের যে ক্ষতি হয়েছে তা ইউরোপের পক্ষ থেকে পুষিয়ে দিতে হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার সরে পড়ার বিষয়ে ইউরোপ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখলে ইরান বসে থাকবে না। ইরানের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য ইউরোপকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এর পরিণতি দেখবে তারা।
জারিফ জার্মান পত্রিকা 'দার স্পাইগেল'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। শনিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতায় যেসব পক্ষ সই করেছে তাদেরকে অবশ্যই ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর করার পদক্ষেপ নিতে হবে। আমেরিকার আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ ধরণের আলোচনার কোনো ভিত্তি নেই। আমেরিকা যদি পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসে তাহলে হয়তো ইরান ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি ভেবে দেখবে।
গত ৮ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সমঝোতায় আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানিও সই করেছে। আমেরিকা ছাড়া অন্য সব পক্ষ পরমাণু সমঝোতা মেনে চলার ঘোষণা দিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ আরো বলেছেন, মার্কিন চাপের কাছে ইউরোপের দেশগুলো আত্মসমর্পণ করবে কিনা সে বিষয়ে তাদেরকে দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ যদি নিষ্ক্রয় থাকে তাহলে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়াবে।
জার্মানির সংবাদ-ভিত্তিক ম্যাগাজিন ‘দার স্পাইগেল’-কে দেয়া সাক্ষাৎকার জাওয়াদ জারিফ এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপের অবশ্যই উচিত- ইরানকে ক্ষতিপূরণ দেয়া।
তিনি বলেন, লেনদেনের ভারসাম্য বিনষ্ট হলে তেহরানকেও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে কাজ করতে হবে। তবে একথার অর্থ এই নয় যে, ইরান এই সমঝোতা থেকে নিজেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেবে। তার পরিবর্তে সমঝোতা থেকে আংশিক প্রত্যাহার কিংবা ‘কম মাত্রার বাস্তবায়ন’ হতে পারে অন্য বিকল্প।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা