২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইদলিবে চূড়ান্ত সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি

ইদলিবে চূড়ান্ত সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি - সংগৃহীত

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটিতে চূড়ান্ত সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিরিয়া ও রাশিয়ার সেনারা। এর বিরোধিতা করে আমেরিকা এবং তার মিত্ররা বলছে, সিরিয়া রাসায়নিক হামলা চালাবে এবং এ ধরনের হামলা হলে দামেস্কের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো হবে। এর আগেও রাসায়নিক হামলার অজুহাত তুলে সিরিয়ার ওপর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে আমেরিকা এবং তার মিত্ররা।

রাসায়নিক হামলার অজুহাতে সিরিয়ার কোন কোন স্থানে আমেরিকা ও তার মিত্ররা হামলা চালাতে চায় তার তালিকা প্রকাশ করার জন্য আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সম্ভাব্য বিমান হামলার জন্য পেন্টাগন এরইমধ্যে লক্ষ্যবস্তু ঠিক করেছে বলে যে খবর বের হয়েছে আমেরিকা ও তার মিত্র ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের উচিত সম্ভাব্য সেসব লক্ষ্যবস্তুর তালিকা প্রকাশ করা।

নেবেনজিয়া বলেন, যদি আপনারা বিশ্বাস করেন যে, ওইসব লক্ষ্যবস্তু রাসায়নিক অস্ত্রের গুদাম তাহলে আপনারা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি কিছু সম্মান দেখান এবং রাসায়নিক অস্ত্রের গুদাম সম্পর্কিত তথ্য রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা বা ওপিসিডাব্লিউ-কে জানান।

 

ইদলিবে হামলায় উদ্বাস্তু হবে আরো লাখ লাখ সিরীয়
ডেইলি সাবাহ, ৩১ আগস্ট ২০১৮

সিরিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার অব্যাহত সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং ইদলিবের চারপাশে বাশার আল আসাদ সরকার সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের মুখে ইউরোপের দিকে আবারো সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের ঢল নামবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

বর্তমানে সিরিয়ার অভ্যন্তরে থাকা বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি হচ্ছে ইদলিব। অঞ্চলটিতে সম্ভাব্য হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে সিরিয়ার স্থানীয় কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা ইউরোপের দিকে উদ্বাস্তু স্রোত শুরু হওয়াসহ মানবিক বিপর্যয়ের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

গত মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সম্ভাব্য ইদলিব হামলা সাত বছর ধরে গৃহযুদ্ধের ধকল সহ্য করে বসবাস করা সিরিয়ার নাগরিকদের জন্য নানামুখী বিপর্যয় ছাড়া অন্য কিছু বয়ে আনবে না। দামেস্কে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার দফতর গতকাল জানায়, সিরিয়ায় বর্তমানে আট লাখ মানুষ ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে এবং ইদলিবে বাশার সরকার ও রাশিয়ার সম্মিলিত হামলা এই মানুষগুলোকে আবারো বাস্তুচ্যুত করবে।

জাতিসঙ্ঘ এর আগে জানিয়েছিল, ইদলিবের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো বিবেচনা করলে সম্ভাব্য উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। সিরিয়ায় অবস্থিত জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার সমন্বয়বিষয়ক দফতরের মুখপাত্র লিন্ডা টম বলেন, ‘ইদলিব ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে শত্রুতা ও উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি যে, হামলা শুরু হলে কেবল ইদলিব অঞ্চল থেকেই প্রায় আট লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে এবং মানবিক সহায়তা দরকার এমন মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।’
ইদলিব নিয়ে রুশ-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা

এ দিকে সিরিয়ার ইদলিবে বিদ্রোহীদের অবস্থানে তুরস্ক ও রাশিয়া যৌথভাবে সামরিক অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। গত বুধবার মস্কোতে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জোবায়েরের সাথে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাসে মস্কো ও আঙ্কারার মধ্যে এই বিষয় নিয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, মস্কোতে তুরস্ক ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র ও প্রতিরামন্ত্রী এবং বিশেষ বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে বেশ কয়েক দিনের আলোচনার অন্যতম ইস্যু ছিল ইদলিব।


আরো সংবাদ



premium cement