২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইরাকেও হামলা চালাবে ইসরাইল, নজর ইরানের সামরিক মজুতে

ইরাকেও হামলা চালাবে ইসরাইল, নজর ইরানের সামরিক মজুতে - সংগৃহীত

সিরিয়ায় ইরানি স্থাপনায় বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এবার ইরাকেও ইরানি স্থাপনায় হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

সোমবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগডর লিবারম্যান জেরুসালেমে এক সম্মেলনে বলেন, ‘সিরিয়ায় কী ঘটছে তা নিশ্চিতভাবেই আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আর ইরানি হুমকির ব্যাপারে আমরা শুধু সিরীয় সীমান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নই। সে বিষয়টিও স্পষ্ট হওয়া দরকার।’

ইরাকে শিয়াপন্থী বা ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইরান। ইসরাইলি মন্ত্রীকে ওই খবরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি উল্লিখিত মন্তব্য করে বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আমরা ইরানের হুমকি মোকাবিলা করব সেটা যেখানেই হোক। ইসরাইলের এ ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা আছে এবং সেটা আমরা কাজে লাগাব। এটা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয় নয় যে সেই হুমকি কোথা থেকে এলো। আমাদের কাছে ইসরাইলের স্বাধীনতাই হলো সব। আমরা যে কোনো মূল্যে এই স্বাধীনতা রক্ষা করবো।’

ইরাকে ইরানের সামরিক সম্পদে ইসরাইল নজর দিয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইরাকে মজুত ইরানের সন্দেহজনক সামরিক সম্পদে আক্রমণ করতে পারে তারা। ইরান যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর মাধ্যমে এই সামরিক সম্পদ মজুত করেছে বলে জানান তিনি।

ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ইসরাইল
আল-জাজিরা

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সিরিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত ও কঠোর ব্যবস্থা নেবে ইসরাইল। তেহরান ও দামেস্কের মধ্যকার সহযোগিতা চুক্তিকে ভয় পায় না ইসরাইল।

আইএস এবং ন্যাটোর হামলা মোকাবেলায় সিরিয়ার পাশে ইরান সেনাবাহিনী থাকার ঘোষণা এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সাথে নতুন সামরিক সহযোগিতা চুক্তির পর বুধবার এসব কথা বলেন তিনি।

ইসরাইলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শিমন পেরেজের পরবর্তীতে ইসরাইলের পারমাণবিক সহজসাধ্যতা শীর্ষক অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেন, সিরিয়ায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহে ইরানের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শক্ত-কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল। সিরিয়া-ইরানের মধ্যকার কোনো চুক্তিতেই আমরা ভীত নই। কখনো কারো হুমকিকে আমরা ভয় পাই না।

নেতানিয়াহু আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপারে এটাই সাধারণ সত্য যে, পৃথিবীর কোথাও দুর্বলের কোনো স্থান নেই। দুর্বলের পতন ঘটবে, তাদেরকে হত্যা করা হবে এবং ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হবে। যে শক্তিশালী, সে খারাপ হোক কিংবা ভালো হোক; সেই টিকে থাকবে। সেই শক্তিশালী যে সম্মানিত, তারাই শক্তিশালী যারা জোটবদ্ধ-ঐক্যবদ্ধ এবং অবশেষে তারাই শক্তিশালী যারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

ইরানের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল কাসেম আলী নেজাদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপস্থিতি থাকবে। সিরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় মাইন অপসারণ ও সামরিক কারখানা পুনর্স্থাপনে ইরান সহায়তা করবে। সিরিয়ার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সিরিয়াকে সহযোগিতা করাকেই দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement