২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘ইহুদি রাষ্ট্রের’ বিরুদ্ধে ইসরাইলি জনগণের বিক্ষোভ

‘ইহুদি রাষ্ট্রের’ বিরুদ্ধে ইসরাইলি জনগণের বিক্ষোভ। ছবি - সংগৃহীত

ইসরাইলকে 'ইহুদি রাষ্ট্র' ঘোষণা করায় ইসরাইলে ১০ হাজারের বেশি জনগণের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের এই বিক্ষোভে ইহুদি ও আরবরা অংশ নিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে গত মাসে দেশটিকে 'ইহুদি রাষ্ট্র' হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আইন পাশ করানোর মাধ্যমে ইহুদিবাদীদের আসল চরিত্র ফুটে উঠেছে। এর ফলে দেশটির অ-ইহুদি জনগণ দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে পরিগনিত হবেন। ইসরাইলে প্রায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ইসরাইলি নাগরিক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

আন্দোলনকারীরা শনিবার রাত থেকে তেল আবিবের রাস্তায় এই আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন বলেন, এই প্রথম আরব ও ইহুদিরা একসাথে কোন কিছুর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। যারা গণতন্ত্র ও সমতায় বিশ্বাসী এটা তাদের জন্য দারুণ মুহুর্ত।

বিক্ষোভ আন্দোলনে অংশ নেয়া একজন ইহুদি আইন বাতিলের দবিতে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ইসরাইল রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার থাকা উচিত। আমরা অধিকাংশ ইসরাইলিরা মনে করি সংখ্যালঘুরা আমাদের সমান সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে।

আন্দোলনে অংশ নেয়া ড্যান মেরি বলেন, এটা ইহুদি রাষ্ট্র হলেও এখানকার সবাই সমান। যারা এখানকার নাগরিক তারা শিক্ষা, সেনাবাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্লামেন্টসহ সর্বক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাবে।

গত মাসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নেসেটে আইন পাশ করানোর মাধ্যমে ইহুদিদেরকে দেশটির অদ্বিতীয় নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই আইনের মাধ্যমে ইসরাইলের সরকারি ভাষা হিসেবে হিব্রুকে মর্যাদা দেয়া হয়। এর আগে আরবি ও হিব্রু উভয়ই দেশটির সরকারি ভাষা ছিল।

 

 

আরো দেখুন: ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি

কলম্বিয়া একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ইভান দুক দায়িত্ব নেয়ার কয়েকদিন আগে এ স্বীকৃতি দেয়া হলো। সম্প্রতি প্রকাশিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি থেকে একথা জানা যায়। সান্তোসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া অ্যাঙ্গেলা হলগুইন এ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

আগস্ট মাসের ৩ তারিখের ওই চিঠিতে বলা হয়, আমি আনন্দের সাথে আপনাদের জানাচ্ছি যে কলম্বিয়া সরকারের পক্ষে প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


এদিকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস হলমেস বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক নিয়ম অনুযায়ী আগের সরকারের সিদ্ধান্তের ‘তাৎপর্য’ তিনি পর্যালোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘এ সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে তাদের মিত্র ও বন্ধু দেশের সাথে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অবদান রাখা।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কলম্বিয়া সফরের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার সাথে তার দেশের সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। 


আরো সংবাদ



premium cement