শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়েই সঙ্কট কাটিয়ে উঠবে ইরান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ আগস্ট ২০১৮, ০৯:২৩
ইরানের বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ ইমামি কাশানি বলেছেন, আমরা এখন শত্রুদের চাপিয়ে দেয়া অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করছি এবং বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আমরা সক্ষম হব। শুক্রবার তেহরানের জুমার নামাজের খুতবায় তিনি এ কথা বলেছেন।
তেহরানের জুমা নামাজের খতিব আলোচনায় বসার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে অশুভ উদ্দেশ্য হাসিল করাই শত্রুদের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু তাদের এটা জেনে রাখা উচিত ইরান কখনো আমেরিকার চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।
আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ ইমামি কাশানি আরো বলেছেন, আমেরিকা বলদর্পিতার মাধ্যমে, দখলদার ইসরাইল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এবং সৌদি আরব বিপুল অর্থ ব্যয় করে মুসলিম বিশ্বে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাই মুসলমানদের উচিত অত্যন্ত সতর্ক হওয়া এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা।
নিজস্ব প্রযুক্তিতে উন্নত ট্যাঙ্ক বানাচ্ছে ইরান
১৯ জুলাই ২০১৮
ইরানের সামরিক বাহিনীকে আরো ৮০০ ট্যাংক সরবরাহ করা হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব ট্যাঙ্ক আইআরজিসি এবং ইরানের সেনাবাহিনীকে দেয়া হবে। এর মধ্যে ইরানের বিখ্যাত কারার ট্যাঙ্কও থাকবে।
ইরানের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজা মোজাফফারি-নিয়া বুধবার বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজকে একথা জানান। তিনি জানান, সেনাবাহিনী এবং আইআরজিসি’র চাহিদা পূরণের জন্য ইরান প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০টি ট্যাঙ্ক তৈরি করে।
গত বছরের মার্চ মাসে ইরান উন্নতমানের কারার ট্যাঙ্কের উদ্বোধন করে। উভচর শ্রেণির এ ট্যাঙ্ককে ইরানি প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হোসেইন দেহকান বলেছিলেন- গোলাবর্ষণের ক্ষমতা, নিখুঁতভাবে গোলা নিক্ষেপ এবং চলাচলের ক্ষমতার কারণে এ ট্যাঙ্ক বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ট্যাঙ্কের অন্যতম। এতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় এবং ট্যাঙ্কটি দিনে ও রাতে সমানভাবে কাজ করতে পারে।
কারার হচ্ছে ইরানে তৈরি প্রথম ট্যাঙ্ক যার পুরোটাই নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে রয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ফায়ার কন্ট্রোল ব্যবস্থা, লেসার রেঞ্জফাইন্ডার এবং ব্যালিস্টিক কম্পিউটার অ্যান্ড অ্যাবিলিটি। এ ট্যাঙ্কের সাহায্যে রাতে ও দিনে একইভাবে অভিযান চালানো যাবে। এছাড়া, এ ট্যাঙ্ক গর্ত, নদী এমনকি পানির নিচ দিয়ে চলতে পারবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান সামরিক খাতে বিপুল অগ্রগতি লাভ করেছে। ইরানের প্রতিরক্ষা বিভাগের তৈরি নানা ধরনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম এরইমধ্যে বিভিন্ন মহড়ায় পরীক্ষা করা হয়েছে। গত বছরের এপ্রিল মাসে ইরান আকারেব নামে একটি নতুন ধরনের যুদ্ধট্যাঙ্ক উদ্বোধন করে। এ ট্যাঙ্কে ৯০ মিলিমিটারের কামান বসানো হয়েছে এবং চারজন সেনা বহন করতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা