২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ইসরাইল

যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ইসরাইল - সংগৃহীত

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভিগদোর লিবারম্যান বলেছেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সিরিয়ার সেনারা সিরিয়ার সমস্ত ভূমি পুনরুদ্ধারে সন্তুষ্ট নয় বরং তারা এর বাইরেও কিছু চায়। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি এবং যেকেনো পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত। 

ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমি পরিদর্শনের সময় লিবারম্যান সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। 

তিনি স্বীকার করেছেন, গত সাত বছরে বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র সহিংসতার ফলে সিরিয়ার সরকার যেসব ভূখণ্ড হারিয়েছিল তা পুনরুদ্ধার করছে। তিনি বলেছেন, সঙ্কট শুরুর আগের মতো ভয়ংকরভাবে সিরিয়ার সরকার সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে।

তিনি বলেন, সিরিয়ার সেনারা শুধু ভূমিই উদ্ধার করছে না বরং তারা তাদের শক্তি পুনর্গঠিত করে তুলছে। গোলান মালিভূমিতে তিনি ইসরাইলি সেনাদের একটি মহড়াও পরিদর্শন করেন।

চলতি মাসের প্রথম দিকে লিবারম্যান বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করছেন এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনছেন।

 

গাজা দখলের মহড়ায় ইসরাইল, যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার হুমকি

১৭ জুলাই ২০১৮

দফায় দফায় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ইসরাইল। একে দৃশ্যত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দখলের সব মহড়া বলে মনে করা হচ্ছে।  রোববার থেকে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে এবং পুরো সপ্তাহ ধরে এ মহড়া চলবে বলে ধারণা করছে ইসরাইলের গণমাধ্যম।

ইসরাইলের ওয়ালা নিউজ ওয়েবসাইটের খবর অনুসারে, ইসরাইলের সেনাদের ১৬২তম আর্মড ডিভিশনের নেতৃত্বে একটি মহড়া অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি হবে গাজা দখলের মহড়া।  


মহড়া শুরুর আগের দিন ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে। বলা হচ্ছে- ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের বিমান হামলা।

এ হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত নিকোলাই ম্লাদেনভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসরাইল এবং গাজা উপত্যকা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। বেশ কিছু দিন থেকে ইসরাইল গাজার ওপর পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।

 

গাজা সীমান্তে সাগরের তলদেশে ব্যারিকেড তৈরি করছে ইসরাইল
স্পুটুনিক নিউজ

হামাসকে রুখতে গাজা সীমান্তে অবৈধভাবে সাগরের তলদেশে ব্যারিকেড নির্মাণ করছে ইসরাইল। তিন স্তরবিশিষ্ট ব্যারিকেডটির প্রথম স্তরটি সাগরের তলদেশে, দ্বিতীয় স্তরটি অস্ত্রসজ্জিত পাথরের এবং তৃতীয়টি স্তরটি ঢিবি আকারের।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাগরের তলদেশ দিয়ে নির্মিত ব্যারিকেডটি দক্ষিণ ইসরাইলের কমিউনিটি ‘জিকিম’ থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত প্রসারিত হবে, যা হামাসকে প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হবে।

চলতি বছরের শেষের দিকে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে মুসলিমবিদ্বেষী দেশটি। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগডর লিবারম্যানের বরাত দিয়ে জেরুসালেম পোস্টের খবরে বলা হয়, ‘বিশ্ব এ ধরনের ব্যারিকেড এটাই প্রথম; যা কার্যকরভাবে সমুদ্রের মাধ্যমে ইসরাইলে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনাকে অবরুদ্ধ করবে এবং ‘ক্ষতি করার লক্ষ্যে’ হামাসের কৌশলগত সক্ষমতাকে ব্যর্থ করবে।’

ইসরাইলের দাবি, ২০১৪ সালে হামাসের পাঁচ নৌকমান্ডো ‘অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য’ নিয়ে ইসরাইলের জিকিমে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের এ ধরনের প্রচেষ্টা রুখতেই এই ব্যারিকেড নির্মাণ হচ্ছে।

গাজা সীমান্তে দুই মাস ধরে চলা ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে এ পর্যন্ত ১১৩ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। গত ১৫ মে জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের দিনতে ৬২ জনকে হত্যা করে ইসরাইলি সৈন্যরা। ২০১৪ সালে গাজায় ইসরাইলের হামলার পর এক দিনে এত বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুসালেমে তারা গড়ে তুলেছে দুই লাখ ইহুদির জন্য বহু বসতি। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ। একসময় জেরুসালেমে বহু দেশের দূতাবাস ছিল। কিন্তু ১৯৮০ সালে ইসরাইল জেরুসালেমকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করার পর বহু দেশ সেখান থেকে তাদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।


আরো সংবাদ



premium cement