২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রচণ্ড বিমান হামলা চালাল রাশিয়া

প্রচণ্ড বিমান হামলা চালাল রাশিয়া - ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া রোববার রাতে প্রচণ্ড বিমান বোমা হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এই হামলা চালানো হয় বলে একটি পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন একথা জানিয়েছে।
প্রায় এক বছর আগে অস্ত্রবিরতির পর এই প্রথমবারের মতো রাশিয়া হামলা চালালো। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

সরকারি বাহিনীকে স্থল যুদ্ধে সহায়তার লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। আসাদ বাহিনী ওই অঞ্চলে অভিযানে প্রস্তুতি শেষ করেছে।

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল দেশটিতে চলমান যুদ্ধে অংশ নেয়া স্থানীয় বিভিন্ন পক্ষ ও আন্তর্জাতিক শক্তিধর দেশগুলোর জন্য একটি কৌশলগত স্থান। সাত বছর ধরে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদেশী পরাশক্তিগুলোও এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
রাজধানী দামেস্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দারা ও স্বইদা বিদ্রোহীদের কবল থেকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছেন।

কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি ওই অঞ্চলে সৈন্য সমাবেশ বাড়াচ্ছেন, বিদ্রোহীদের প্রতি আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছেন এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বোমা হামলা জোরদার করেছেন।
ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গত রাতে বাশারের মিত্র রাশিয়া দারায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা চারিয়েছে। ২০১৭ সালের গ্রীষ্মকালের পর এই প্রথমবার রাশিয়া হামলা চালাল।

মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, রাশিয়া বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অন্তত ২৫ টি বিমান হামলা চালিয়েছে।
তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আরো পড়ুন :
৩০ মার্চ থেকে ১৩১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার বলেছে, তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৩০ মার্চ থেকে ইসরাইলি সৈন্যরা ১৩১ ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। গাজায় বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি চালালে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ১৩১ ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। এ ছাড়াও তাদের হামলায় ৭ হাজার ৯৭৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে এবং ৫৪ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
খবর বার্তা সংস্থা সিনহুয়া’র।

প্রতিবেদনটিতে ইসরাইলি সৈন্যরা চিকিৎসা কর্মী ও এ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই চিকিৎসাকর্মীরা বিক্ষোভস্থলে আহতদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য গিয়েছিলেন।
৩০ মার্চ থেকে গাজা ভূখণ্ডে পূর্বাঞ্চলে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে।
২০০৭ সাল থেকে উপকূলীয় অঞ্চলটির ওপর ইসরাইলের কঠোর অবরোধ অবসানের দাবিতে এ বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়।

আরো পড়ুন :
সৌদি নারীর স্বপ্ন পূরণ হলো
নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। রোববার থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীরা গাড়ি চালাচ্ছে। এটা রক্ষণশীল দেশটির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
রিয়াদ নগরীতে জন্মগ্রহণকারী এক নারীকে তার অনুভূতি সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার নাম সামার আলমোগরেন। আমি একটি টকশো’র উপস্থাপিকা ও লেখিকা।’

তিনি আরো বলেন, ‘বহুদিন পর আমি আমার মুখ থেকে নিকাব সরালাম। প্রথম যেদিন আমি টেলিভিশনে আমার চেহারা দেখানোর সিদ্ধান্ত নেই। আমার পরিবারের সবার কাছ থেকে সমর্থন পাইনি। আমার এই সিদ্ধান্তে আমার ভাইয়েরা খুবই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু আমার বাবা সবসময়ই আমার পাশে ছিলেন। তিনি আমার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে আমাকে সমর্থন করেছেন। একমাত্র তিনিই আমার বিদেশে লেখাপড়ায় সমর্থন দিয়েছেন।’

সামার বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন দেশে আমি গাড়ি চালিয়েছি। আমার আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের শহরে গাড়ি চালানো অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ অন্যরকম।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি মূলত গাড়ি চালাতে অপছন্দ করি। কিন্তু এটা ভিন্ন ইস্যু। এখানে আমার অধিকারের প্রশ্ন। গাড়ি চালানো, বা না চালানোটা আমার একান্ত নিজের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। আমার ইচ্ছে হয়ে চালাবো, ইচ্ছে না হলে চালাবো না।’

এই প্রত্যয়ী নারী বলেন, ‘উত্তেজনায় আমার সারা শরীর এখন কাঁপছে। খুব খুশির অন্যরকম একটা অনুভূতি। আমার আমার গাড়িতে বসে স্টিয়ারিং হুইল ধরবো। আমাকে এত দিন দেশে গাড়ির পেছনের আসনেই বসতে হতো। এখন আমি চালকের আসনে বসতে পারবো। আমি আত্মনির্ভরশীল একজন নারী।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি জানতাম একদিন না একদিন আমার দেশে নারীদের গাড়ি চালানো অনুমতি দেয়া হবে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি আকস্মিকভাবে অনুমতি দেয়া হবে ভাবতেই পারিনি।’

সামার বলেন, ‘আমি আজ রাতে সাদা বুরকা পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কালো বুরকা মুসলিম নারীর বিশেষ পোশাকে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থে এমন একটি শব্দও নেই যেখানে বলা হয়েছে যে, নারীদের কালো বুরকা পড়তেই হবে। ইসলাম ধর্মে নারীদের মার্জিত শালিন পোশাক পড়তে বলা হয়েছে। আমি কালো পোশাকের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু জোর করে এটাকে চালিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিদেশে গাড়ি চালিয়েছি। আমার আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে। তাই ইতোমধ্যে সবাই (নারীরা) আমাকে তাদের কর্মস্থলে পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছেন। অনেকে আমার গাড়িতে চড়ে কফিশপে যাবারও ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। আমি আমার মাকে আমার গাড়িতে চড়াবো, ভাবতেই খুব ভালো লাগছে। আমার মা এই বয়সে গাড়ি চালাবেন না। আমি ও আমার বোনেরা আমাদের গাড়িতে করে তাকে বেড়াতে নিয়ে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার সন্তানকে নিয়ে গাড়ি চালাতে পারবো। সে বিশ্বাস করবে আমি তাকে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমি সবসময় গাড়িতে তার সাথে থাকছি।’
সাদা শান্তির পোশাক। সামার তাই আজ রাতে এই পেশাকটি বেছে নিয়েছেন। তিনি নিজেকের পাখি নয়, প্রজাপতি ভাবছেন। মুক্ত স্বাধীন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী!  আমেরিকানরা কি ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে? গাজায় রিজার্ভ ব্রিগেড মোতায়েন ইসরাইলের উপজেলা নির্বাচন জটিলতা ভোটাধিকারের প্রতি মর্যাদা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধের ধারাবাহিক ধারা’ অনুসরণের অভিযোগ

সকল