১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জেরুসালেমে হাজার বছরের পুরনো প্রত্নত্ত্ব আবিষ্কার

জেরুসালেমে হাজার বছর পুরনো প্রত্নত্ত্ব আবিষ্কার। -

ইসরাইলের প্রত্নতাত্ত্বিকরা একটি পার্কিং লটের নিচে মাটির তৈরি একটি বিরল প্রাচীন মাদুলির সন্ধান পেয়েছে। এটি ৯ম বা ১০ম শতাব্দী আব্বাসীয় আমলের একটি নিদর্শন বলে প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন।ইসরাইলের ডেভিড শহরের একটি পার্কিং লটের জায়গায় খনন কাজ চালানোর সময় এটি আবিষ্কৃত হয়।
মাদুলিতে একটি আরবি প্রার্থনা রয়েছে যা দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এটি মাদুলির স্বত্তাধিকারীকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এই তাবিজের স্বত্তাধিকারীর নাম করিম। ডেইলি মেইলের রিপোর্ট অনুযায়ী হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের রথবার্গ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ড. নিতসান অমিতায়ির অনুবাদ অনুযায়ী, এতে খোদাই করা আছে, ‘করিম আল্লাহকে বিশ্বাস করে; আল্লাহ সমগ্র বিশ্বের প্রভু’।

জেরুজালেম ওয়ালস ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে ডেভিড শহরের গীবতি পার্কিং লটের একটি ছোট কক্ষ খননকালে প্লাস্টারের স্তরের মধ্যে এই মাদুলিটি পাওয়া গেছে।
তবুও বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হতে পারেননি যে, এই মাদুলিটি ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানে রেখে দেওয়া হয়েছিল নাকি করিম নামের লোকটির কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল, কারন এটি একটি মজবুত দেয়ালে ছিদ্র করে রাখার মতো কোন চিহৃ নেই।গবেষকরা মনে করেন, এটি গয়না একটি অংশ ছিল বা কোন পাত্র সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

ড. নিতজান অমিতায়ি বলছেন, এই নিদর্শনগুলোর শিলালিপি থেকে জানা যায় এগুলো আব্বাসীয় আমলের তৈরি। তবে এই ধরনের মাটির তৈরি বস্তু, বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র এই নিদর্শনগুলো একটি বিরল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউভাল গাদভ এবং ইজরায়েল প্রত্নতাত্ত্বিকের পরিচালকগণ ড. ইফতাহ শালভ বলেন, ‘বস্তুর আকার, এর আকৃতি, এবং এটির পাঠ্য নির্দেশ করে যে এটি একটি আশীর্বাদ এবং সুরক্ষাসূচক মাদুলি।’
তিনি হেরাতের সংবাদপত্রকে বলেছিলেন, এইরকম একটি মাদুলি ব্যক্তিগত সুরক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
প্রাচীনকাল থেকেই এসব মাদুলি শয়তানের খারাপ নজর থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
খননকাজ চলাকালে একই জায়গায় থেকে একটি ল্যাম্প পাওয়া গেছে। যার গায়ে আব্বসিয় আমলের তারিখ খোদাই করা ছিল।

 

আরো দেখুন : কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইসরাইল, শক্তিশালী হয়েছে ফিলিস্তিন

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের নিন্দা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

 হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনিদের পক্ষের প্রস্তাব পাস হওয়ায় এবং মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় ফিলিস্তিনিদের বিজয় হয়েছে। আমেরিকা যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এর মধ্যদিয়ে সে বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

হামাসের বিবৃতিতে এসেছে, আমেরিকা ইসরাইলের অব্যাহত অপরাধযজ্ঞ আড়াল করার পাশাপাশি এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে একঘরে করে ফেলেছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ এই প্রস্তাবের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের অবস্থান আরো জোরদার হবে বলে বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে।

বিশ্বের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২০টি দেশ এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র আটটি দেশ। ৪৫টি সদস্য ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল। 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকার অধিবাসীরা গত ৩০ মার্চ থেকে  নিজেদের ভূমিতে ফেরার লক্ষ্যে গাজা সীমান্তে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে। এসব বিক্ষোভ মিছিলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ১৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১৩,৯০০ জন আহত হয়।

গতকাল সাধারণ পরিষদে আমেরিকা একটি পাল্টা প্রস্তাব তোলে যাতে গাজায় সহিংসতা সৃষ্টির জন্য হামাসকে নিন্দা করা হয়। তবে পাল্টা প্রস্তাব পাস হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement