২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

‘হিজাবের ভেতর লুকিয়ে রাখতাম বই-খাতা’

বোমা হামলায় বিধ্বস্ত সিরিয়ার একটি স্কুলে এক শিক্ষার্থী - ছবি : সংগ্রহ

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর নিয়ন্ত্রনের বাইরের সর্বশেষ এলাকাটি ছিল ইয়ারমুক। এলাকাটি তখন নিয়ন্ত্রণ করতো প্রধানত আইএস। তবে গত মাসে ব্যাপক বোমাবর্ষণ ও সম্মুখযুদ্ধের পর তারা ইয়ারমুক ছেড়ে চলে গেছে। আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় ইয়ারমুকের মেয়েদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন স্কুলগুলো আবার খুলেছে, ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে। ইয়ারমুক থেকে বিবিসির প্রতিনিধি ক্যারোলাইন হলি জানিয়েছেন, সেখানকার স্কুলের মেয়েদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা স্কুলে লেখাপড়া করার জন্য ভয়ংকর সব ঝুঁকি নিয়েছে।

তারা যেখানকার বাসিন্দা- সেই এলাকাটি ছিল আইএসের দখলে। তারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রবল ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে ব্যবহার করে এই মেয়েরা তা প্রতিহত করেছে। সেই মেয়েদের একজন জেরিন সুলাইমন, যার বয়স ১৫। তিনি বলেন, ‘লেখাপড়া করার যে মৌলিক অধিকার তা আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। আমাদের স্কুলে যেতে দেয়া হতো না। আমরা যেন শপিং করতে ইয়াল্দায় যাচ্ছি - এমন ভাব করে স্কুলে যেতাম।’

আরেক জন ছাত্রী ১৪ বছরের ফাতিমা। তিনি বলছিলেন, তার এক বান্ধবীকে আইএস পিটিয়েছিল কারণ তার কাছে খাতাপত্র পাওয়া গিয়েছিল। ফাতিমা বলে, ‘আমরা হিজাবের নিচে বা জুতোর মধ্যে বই, খাতাপত্র লুকিয়ে রাখতাম। বা এমন যে কোন জায়গায় যাতে ওরা খুজে না পায়। খুঁজে পেলে - এমনকি তা যদি সাদা কাগজও হতো - তাহলেও তারা তা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলতো।’

জেরিন বলেন, আইএস মেয়েদের নিকাব পরতে বাধ্য করতো, সাথে কোন বই পত্র রাখতে দিতো না। স্কুলের সাথে সম্পর্কিত যে কোন জিনিসই তাদের চোখে ছিল নিষিদ্ধ। তারা এমনকি কলম বা রুলারও ভেঙে ফেলতো।

আইএসের চোখকে ফাঁকি দেবার জন্য এই মেয়েরা মোবাইল ফোন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগায়। ফাতিমা বলছিলেন, বোর্ডে শিক্ষক যা লিখতেন - আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে তার ছবি তুলে রাখতাম। সেটা সোশাল মিডিয়ায় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতাম। ইয়ারমুক আইএসের দখলে থাকার সময় লড়াই চলার মধ্যে নেটওয়ার্ক সবসময় পাওয়া যেতো না। পেতে হলে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির ছাদে উঠতে হতো।

ফাতিমা বলেন, আমাদের কোন বইপত্র ছিল না। ছিল শুধু মোবাইল ফোন। তবে শিক্ষাই হচ্ছে সবকিছু । আর এটাই আমাদের অস্ত্র।

পরীক্ষা হয়ে যাবার পর এই মেয়েরা অন্য আর দশটা ছাত্রীর মতোই ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু আসলে তারা আরো বড় এক পরীক্ষা পার হয়ে এসেছে - যা অনেক সময় সময় জীবনমৃত্যুর পরীক্ষা। সূত্র : বিবিসি

আরো পড়ুন :

মসুলের মানুষ সব কিছু হারিয়েছে : অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ইরাকের মসুল পরিদর্শনের পর জাতিসঙ্ঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে  হলিউডের অভিনেত্রী ও জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থার বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেছেন, ইউএনএইচসিআর-এর দূত হিসেবে আমি যেসব জায়গা পরিদর্শন করেছি তার মধ্যে এখানেই ধ্বংসচিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানকার মানুষ সব কিছু হারিয়েছে। তারা পরিত্যক্ত হয়ে আছে। সেখানে শিশুদের জন্য কোনো ওষুধ নেই, সুপেয় পানি নেই। মৌলিক চাহিদা পূরণের কোনো ব্যবস্থাই সেখানে নেই।

আইএস প্রায় তিন বছর ধরে মসুল দখল করে ছিল এবং তাদের ঘোষিত ‘ইসলামিক খেলাফতের’ গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল নগরীটি। এরপর অবশ্য ইরাকি বাহিনী গত বছর ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হটিয়ে মসুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। মসুলের চারিদিকে এখনও শুধুই ধ্বংসচিত্র। মসুল পুনর্গঠনের কাজ খুবই ধীরে চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মূলত সিরীয় শরণার্থীদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। শরণার্থীদের ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি সংঘাত এড়ানোর উপায় খোঁজার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। জোলি ইরাকের উত্তরাঞ্চলের একটি শরণার্থী শিবিরে যান, যেখানে প্রায় ৩৩ হাজার শরণার্থীর বাস। তার আগের দিন তিনি ইরাকের ধ্বংসপ্রাপ্ত মসুল নগরীতে গিয়েছিলেন।

ক্ষেপেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন বলিউড সুপার স্টার অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ইটের বদলে পাটকেল উড়ে এলো ইরানের দিক থেকেও। আসন্ন কুস্তি বিশ্বকাপে মার্কিন কুস্তিগিরদের ইরানে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিল ইরান। তবে মচকাচ্ছেন না ট্রাম্প। ইরান আগুন নিয়ে খেলছে বলে টুইট করেছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার আগে থেকেই জনপ্রিয়তায় ভাটা। আর এই সইয়ের পর তো ঘরে-বাইরে রীতিমতো খলনায়ক ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাত দেশের রোষ দাবানলে পরিণত হয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মার্কিন মুলুক জুড়ে। খোদ মার্কিন কর্পোরেট দুনিয়া ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে ফুঁসছে। সিলিকন ভ্যালির প্রতিবাদ ক্রমশই চওড়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতেও পিছপা নয় তারা।

এবার তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। শুধু দুনিয়াখ্যাত অভিনেত্রীই নন, ২০১২ থেকে ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার অফ রিফিউজির দূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। টুইটে প্রতিবাদ জানান তিনি। মার্কিনিদের নিজেদেরই নিজেদের রক্ষা করতে হবে বলে টুইট করেছেন তিনি। যেভাবে শরণার্থীদের পুনর্বাসন আটকানো হচ্ছে, বা কিছু মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় আসা বন্ধ করা হচ্ছে, সেটা কখনও আমেরিকানদের কাছে কাঙ্ক্ষিত নয়। নিরাপত্তার জন্য মার্কিনিরা নিজেদের মূল্যবোধ ভুলে যেতে পারেন না বলে মন্তব্য জোলির। শরণার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলেই যে নিরাপদ হওয়া যাবে, তেমনটা নয়।

ইটের জবাবে ট্রাম্পের দিকে এবার পাটকেল ধেয়ে এল ইরানের দিক থেকে। আসন্ন কুস্তি বিশ্বকাপে মার্কিন প্রতিযোগীদের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইরান সরকার। ১৯৯৮ সালে তখতি কাপে শেষ ইরানের মাটিতে মার্কিন কুস্তিগিররা লড়েছিলেন। এবার ফ্রিস্টাইল কুস্তি বিশ্বকাপ হতে চলেছে চলতি মাসের ১৬-১৭ তারিখে। সেখানে মার্কিন কুস্তিগিরদের অংশগ্রহণ করার কথা। কিন্তু তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। ট্রাম্প অবশ্য মচকাচ্ছেন না। বরং জোরালো হচ্ছে তার দিক থেকে আক্রমণ। টুইটে ফের আক্রমণ করেছেন ইরানকে।

পাশাপাশি তার সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি সাজানোর হাতিয়ার হিসাবে তুলে ধরেছেন প্যারিসের ল্যুভের জাদুঘরের জঙ্গিহানাকে। আমেরিকাকে ফের বিশ্বসেরা করার লক্ষ্যে যারা তাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের যুক্তি সাজিয়েছেন তিনি। টুইটারে তার মন্তব্য,
পেশাদার সন্ত্রাসবাসী এবং কিছু মার্কিনি টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে বলে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ঝড় থামছে না। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে গোটা বিশ্বের নজর এখন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকেই।


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল