২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মসুলের মানুষ সব কিছু হারিয়েছে : অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

মসুলের মানুষ সব কিছু হারিয়েছে : অ্যাঞ্জেলিনা জোলি - সংগৃহীত

ইরাকের মসুল পরিদর্শনের পর জাতিসঙ্ঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে  হলিউডের অভিনেত্রী ও জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থার বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেছেন, ইউএনএইচসিআর-এর দূত হিসেবে আমি যেসব জায়গা পরিদর্শন করেছি তার মধ্যে এখানেই ধ্বংসচিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানকার মানুষ সব কিছু হারিয়েছে। তারা পরিত্যক্ত হয়ে আছে। সেখানে শিশুদের জন্য কোনো ওষুধ নেই, সুপেয় পানি নেই। মৌলিক চাহিদা পূরণের কোনো ব্যবস্থাই সেখানে নেই।

আইএস প্রায় তিন বছর ধরে মসুল দখল করে ছিল এবং তাদের ঘোষিত ‘ইসলামিক খেলাফতের’ গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল নগরীটি। এরপর অবশ্য ইরাকি বাহিনী গত বছর ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হটিয়ে মসুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। মসুলের চারিদিকে এখনও শুধুই ধ্বংসচিত্র। মসুল পুনর্গঠনের কাজ খুবই ধীরে চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মূলত সিরীয় শরণার্থীদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। শরণার্থীদের ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি সংঘাত এড়ানোর উপায় খোঁজার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। জোলি ইরাকের উত্তরাঞ্চলের একটি শরণার্থী শিবিরে যান, যেখানে প্রায় ৩৩ হাজার শরণার্থীর বাস। তার আগের দিন তিনি ইরাকের ধ্বংসপ্রাপ্ত মসুল নগরীতে গিয়েছিলেন।

ক্ষেপেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন বলিউড সুপার স্টার অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ইটের বদলে পাটকেল উড়ে এলো ইরানের দিক থেকেও। আসন্ন কুস্তি বিশ্বকাপে মার্কিন কুস্তিগিরদের ইরানে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিল ইরান। তবে মচকাচ্ছেন না ট্রাম্প। ইরান আগুন নিয়ে খেলছে বলে টুইট করেছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার আগে থেকেই জনপ্রিয়তায় ভাটা। আর এই সইয়ের পর তো ঘরে-বাইরে রীতিমতো খলনায়ক ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাত দেশের রোষ দাবানলে পরিণত হয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মার্কিন মুলুক জুড়ে। খোদ মার্কিন কর্পোরেট দুনিয়া ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে ফুঁসছে। সিলিকন ভ্যালির প্রতিবাদ ক্রমশই চওড়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতেও পিছপা নয় তারা।

এবার তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। শুধু দুনিয়াখ্যাত অভিনেত্রীই নন, ২০১২ থেকে ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার অফ রিফিউজির দূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। টুইটে প্রতিবাদ জানান তিনি। মার্কিনিদের নিজেদেরই নিজেদের রক্ষা করতে হবে বলে টুইট করেছেন তিনি। যেভাবে শরণার্থীদের পুনর্বাসন আটকানো হচ্ছে, বা কিছু মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় আসা বন্ধ করা হচ্ছে, সেটা কখনও আমেরিকানদের কাছে কাঙ্ক্ষিত নয়। নিরাপত্তার জন্য মার্কিনিরা নিজেদের মূল্যবোধ ভুলে যেতে পারেন না বলে মন্তব্য জোলির। শরণার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলেই যে নিরাপদ হওয়া যাবে, তেমনটা নয়।

ইটের জবাবে ট্রাম্পের দিকে এবার পাটকেল ধেয়ে এল ইরানের দিক থেকে। আসন্ন কুস্তি বিশ্বকাপে মার্কিন প্রতিযোগীদের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইরান সরকার। ১৯৯৮ সালে তখতি কাপে শেষ ইরানের মাটিতে মার্কিন কুস্তিগিররা লড়েছিলেন। এবার ফ্রিস্টাইল কুস্তি বিশ্বকাপ হতে চলেছে চলতি মাসের ১৬-১৭ তারিখে। সেখানে মার্কিন কুস্তিগিরদের অংশগ্রহণ করার কথা। কিন্তু তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। ট্রাম্প অবশ্য মচকাচ্ছেন না। বরং জোরালো হচ্ছে তার দিক থেকে আক্রমণ। টুইটে ফের আক্রমণ করেছেন ইরানকে।

পাশাপাশি তার সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি সাজানোর হাতিয়ার হিসাবে তুলে ধরেছেন প্যারিসের ল্যুভের জাদুঘরের জঙ্গিহানাকে। আমেরিকাকে ফের বিশ্বসেরা করার লক্ষ্যে যারা তাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের যুক্তি সাজিয়েছেন তিনি। টুইটারে তার মন্তব্য,
পেশাদার সন্ত্রাসবাসী এবং কিছু মার্কিনি টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে বলে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ঝড় থামছে না। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে গোটা বিশ্বের নজর এখন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকেই।

সিরিয়ান উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শনে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ইয়াহু নিউজ

আমরা একটি গণ বাস্তুচ্যুতির যুগে বাস করছি বলে মন্তব্য করেছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। শনিবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের একটি শিবির পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন। জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশনার অ্যান্টোনিও গাটারিসের সাথে উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শনকালে লিখিত বক্তৃতায় জোলি বলেন, ইতঃপূর্বে কখনোই এত মানুষের মানবাধিকার বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত হিসেবে জোলির তুরস্কে ধারাবাহিক সফরের সর্বশেষ ছিল এটি। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল উদ্বাস্তুদের অধিকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে তাদের সংখ্যা ছয় কোটি ছাড়িয়েছে।
উদ্বাস্তুদের সংখ্যা এত বৃদ্ধির পরও অনেক দেশ উদ্বাস্তুদের আশ্রয় না দেয়ার জন্য অজুহাত খুঁজছে। হাঙ্গেরি সম্প্রতি আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে আসা অভিবাসীদের ঠেকানোর জন্য সার্বিয়ার সাথে তাদের সীমান্তে ১৩ ফুট উঁচু প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপের সর্বত্রই অভিবাসনবিরোধী মনোভাব জেগে উঠেছে।

জোলি সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ তাদের জায়গা ছেড়ে পালাচ্ছে, তাদের প্রতি আমাদের সহনশীল হতে হবে।
তুরস্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছে। জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুাযায়ী তাদের আশ্রয় দেয়া লোকের সংখ্যা ১৬ লাখ।


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল