২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অণুজীব দিয়ে শনাক্ত হবে অপরাধী!

অণুজীব দিয়ে শনাক্ত হবে অপরাধী! - সংগৃহীত

শরীর থেকে ঝরে পড়া অণুজীবের ভিত্তিতে অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন এক দল গবেষক। শরীরের ত্বক বা চামড়া এবং নাক থেকে এ সব অণুজীব ঝরে পড়ে অপরাধ যেখানে সংগঠিত হয় সেখানে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের মারসেলে অবস্থিত অ্যারগনে ন্যাশনাল ল্যাবের জার্ড হ্যাম্পটন প্রথম এ ভাবে অপরাধী শনাক্ত করার কথা বলেছিলেন। তিনি এবং তার গবেষক সহকর্মীরা ২০১৪ সালে দেখিয়েছিলেন, প্রতিটি মানুষের আঙ্গুলের ছাপে যেমন একক বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে; তেমনি বৈশিষ্ট্য থাকে তার শরীর থেকে ঝরে পড়া অণুজীবেও। আঙ্গুলের ছাপের ভিত্তিতে যেমন ব্যক্তি বিশেষকে শনাক্ত করা যায়। তেমনি এ সব অণুজীবের উপস্থিতির ভিত্তিতেও কোনো মানুষকে শনাক্ত করা সম্ভব। 

পরবর্তীতে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে তার নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটি কয়েকটি 'চুরির' ঘটনা সাজান। এতে অংশ নেন কয়েকজন স্বেচ্ছাকর্মী। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা অণুজীবের ভিত্তিতে পরবর্তীতে তারা শনাক্ত করতে পারেন কোন কোন স্বেচ্ছাসেবক কোন ধরণের 'চুরিতে' অংশ নিয়েছেন। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবক। গবেষকরা তাদের এ পরীক্ষা চালানোর সময় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। গত সপ্তাহের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় অনুষ্ঠিত এএসএম  মাইক্রোব সম্মেলনে এ পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী সাপ্তাহিক নিউ সায়েন্টিস জানিয়েছেন, এ প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে অপরাধী শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ সফলতা অর্জনের চেষ্টা করছে গবেষক দলটি।

অবশ্য, পাশাপাশি গবেষক দলটি বলছে, ডিএনএ নমুনা এবং আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে ৭০ শতাংশও সাফল্যের বিষয়টিও অপরাধী শনাক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

শিশুরা কেন অপরাধী হয়
ডা: জ্যোৎস্না মাহবুব খান

বিজ্ঞানের ভাষায় অপরাধপ্রবণতার কারণ হলো ক্রমোজোমগত ত্রæটি। এ ছাড়া সন্তানদের অপরাধী হওয়ার পেছনে আরো অন্যতম দু’টি কারণ রয়েছে তা হলোÑ সামাজিক এবং পরিবেশগত কারণ। সামাজিক কারণের মধ্যে প্রথমেই আসে তার পরিবার। পরিবার হচ্ছেÑ সমাজের মধ্যে সবচেয়ে ছোট একক। সন্তান বড় হয় তার পরিবারে, যেখানে ছোটবেলা থেকেই তার মনে এক স্থায়ী প্রভাব পড়ে পরিবারের সদস্যদের আচার-ব্যবহার, নীতিবোধ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক থেকে।

তাদের স্নেহ ভালোবাসা ও সুশাসনে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে সঠিকভাবে। যৌথ পরিবারে বাচ্চাদের লালন-পালন করা যতটা সহজ ও সুষ্ঠু হয় একক পরিবারে ততটা নয়। যৌথ পরিবারে মা-বাবা কর্মরত থকালেও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের অভাব অনেকটা পূরণ করতে পারে। আজকাল যৌথ পরিবার বিলুপ্তির পথে, ফলে একক পরিবারে তাদের লালনপালনের ভার থাকে কাজের লোকের ওপর। ফলে তাদের সুষ্ঠু প্রতিপালন ব্যাহত হয়। তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করে।

তাদের মানসিক অস্থিরতা বাড়ে ফলে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। সন্তানকে কখনো অতিরিক্ত বকাবকি বা শাসন করা ঠিক নয়, তহলে তার মনে ক্রোধের উদ্রেক হয়, একগুঁয়েমি হয়ে যা খুশি তা-ই করবে, অপরাধমূলক কাজ করতে দ্বিধাবোধ করবে না। সন্তানকে বুঝিয়ে শাসন করা উচিত যাতে সে তার ভুল বুঝতে পারে। সন্তান অপরাধী হওয়ার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলোÑ মা-বাবার কলহ, ভুল বোঝাবুঝি, বিয়েবিচ্ছেদ বা মৃত্যু, সন্তানের সামনে মা-বাবার কখনো ঝগড়া করা উচিত নয়, এতে সন্তানের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়।

কিছু কিছু বাবা-মা আছেন যারা তাদের সন্তানকে বাইরের পরিবেশে মিশতে দেন না। এসব শিশুরা হঠাৎ বদসঙ্গে এসে পড়লে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না, ফলে অপরাধমূলক কাজকর্মে ঝুঁকে পড়ে। তাই তাদের বাইরে মিশতে দিতে হবে, আবার নজরও রাখতে হবে। তাদের অপরাধপ্রবণতার ব্যাপারে আধুনিক প্রচারমাধ্যমেরও অনেক ভ‚মিকা রয়েছে। স্থূল ও উপজীবনযাপনের ওপর নির্মিত অনুষ্ঠান তাদের বেশি আকৃষ্ট করে তার মানসিকতা ও মূল্যবোধ পরিবর্তন করে ফেলে।

এসব দেখতে তাদের বিরত রাখাই ভালো। নেশাজাতীয় জিনিস খেয়ে কখনোই বাচ্চাদের সামনে মাতলামি করা উচিত নয়, এটা তাদের সুস্থ মানসিক বিকাশের পরিপন্থী, যা পরে তাকে অপরাধের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং তাদের সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত তার সন্তানকে শত ব্যস্ততার মধ্যেও বেশি বেশি সময় দেয়া। তার সাথে গল্প করা, খেলা, হৈহুল্লোড় করা, বন্ধুত্ব করা ইত্যাদি। এতে সন্তানের জীবন গড়বে সঠিক সুন্দরভাবে।


লেখক : জেনারেল প্রাকটিশনার (মহিলা ও শিশু), হাসান ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল