কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইসরাইল, শক্তিশালী হয়েছে ফিলিস্তিন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ জুন ২০১৮, ০৮:৩৯, আপডেট: ১৫ জুন ২০১৮, ০৮:৪৬
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের নিন্দা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনিদের পক্ষের প্রস্তাব পাস হওয়ায় এবং মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় ফিলিস্তিনিদের বিজয় হয়েছে। আমেরিকা যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এর মধ্যদিয়ে সে বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
হামাসের বিবৃতিতে এসেছে, আমেরিকা ইসরাইলের অব্যাহত অপরাধযজ্ঞ আড়াল করার পাশাপাশি এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে একঘরে করে ফেলেছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ এই প্রস্তাবের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের অবস্থান আরো জোরদার হবে বলে বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে।
বিশ্বের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২০টি দেশ এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র আটটি দেশ। ৪৫টি সদস্য ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকার অধিবাসীরা গত ৩০ মার্চ থেকে নিজেদের ভূমিতে ফেরার লক্ষ্যে গাজা সীমান্তে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে। এসব বিক্ষোভ মিছিলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ১৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১৩,৯০০ জন আহত হয়।
গতকাল সাধারণ পরিষদে আমেরিকা একটি পাল্টা প্রস্তাব তোলে যাতে গাজায় সহিংসতা সৃষ্টির জন্য হামাসকে নিন্দা করা হয়। তবে পাল্টা প্রস্তাব পাস হয়নি।
ইতিহাসের নিকৃষ্টতম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প : রুহানি
যুক্তরাষ্ট্রের সব শাসকই ইরান বিরোধী ছিলেন মন্তব্য করে বর্তমান শাসককে (ডোনাল্ড ট্রাম্প) সবার চেয়ে নিকৃষ্টতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
রুহানি বলেন, ইতিহাসে খুনির সংখ্যা কম ছিল না, কিন্তু তাদের সবাই শিমার ছিল না। ইতিহাসে অনেক বিশ্বাসঘাতক ছিল কিন্তু সবাই ইবনে মুলজাম ছিল না। মার্কিন ইতিহাসের সব প্রেসিডেন্ট ইরানবিরোধী হলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট অন্যদের চেয়ে বেশি খারাপ, নিকৃষ্ট এবং তার পরিকল্পনাগুলো বেশি অশুভ।
উল্লেখ্য, শিমার হচ্ছে বিশ্বনবী (স.)'র নাতি ইমাম হোসেন (আ.)'র অন্যতম ঘাতক এবং ইবনে মুলজাম হচ্ছে হজরত আলী (আ.)'র কুখ্যাত ঘাতক।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ইরানি জাতি সঠিক পথে রয়েছে এবং তারা মিথ্যার বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করবে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারই ইরানিদের সঙ্গে শত্রুতা করেছে। কিন্তু শত্রুতারওতো একটা সীমা-পরিসীমা রয়েছে।
তিনি মিডিয়ার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, যারা ইরানি জাতির অকল্যাণ চায় আমরা তাদের পরাজিত করব। বর্তমানে শত্রুদের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ মোকাবেলায় মিডিয়ার গুরু দায়িত্ব রয়েছে। এই যুদ্ধের গুরুত্ব অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যুদ্ধের চেয়েও বেশি।
পরমাণু সমঝোতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী একটি দেশ তা থেকে বেরিয়ে গেছে।
কিন্তু ইরানের সঠিক আচরণের কারণে কয়েকটি সরকার ছাড়া বিশ্বের আর সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা জানাচ্ছে এবং ইরানের প্রশংসা করছে। গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা