২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরিয়ায় ইরানের সেনা ঘাঁটি!

সিরিয়ায় ইরানের সেনা ঘাঁটি! - সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, তার দেশে বর্তমানে ইরানের কোনো সামরিক ঘাঁটি নেই, তবে প্রয়োজন হলে ইরানকে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে দিতে দামেস্ক দ্বিধা করবে না।

তিনি বুধবার ইরানের আরবি স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেল আল-আলমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।

বাশার আল-আসাদ সিরিয়ায় উপস্থিত মার্কিন, ফরাসি, তুর্কি ও ইসরাইলি সেনাদেরকে দখলদার আখ্যায়িত করে বলেন, এসব সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে।

প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসী কিংবা বিদেশি সেনাদের নাগরিকত্বের দিকে না তাকিয়ে তাদেরকে দখলদার শক্তি ধরে নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাবে সিরিয়ার সেনাবাহিনী।

সিরিয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে লেবাননের হিজবুল্লাহর উপস্থিতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দামেস্কের অনুরোধে সাড়া দিয়ে হিজবুল্লাহ সিরিয়ায় এসেছে এবং যতদিন প্রয়োজন তারা সিরিয়ায় থাকবে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তার রূপরেখা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে একটি সুযোগ দিতে চাই। কিন্তু তাতে যদি সাফল্য না আসে তাহলে বলপ্রয়োগ করে ওই এলাকা মুক্ত করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না।

এর আগে ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশের সঙ্কট উস্কে দেয়ার জন্য পাশ্চাত্যকে দায়ী করেন। বাশার আল-আসাদ বলেন, তার সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে পাশ্চাত্য এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। 

সিরিয়া যুদ্ধের জন্য কে দায়ী?

সিরিয়া যুদ্ধ উস্কে দেওয়ার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। রোববার এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে এ অভিযোগ করেন তিনি।

পশ্চিমাদের সব ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে দমন করা হবে বলেও সতর্ক করেন আসাদ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের মদদে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা সন্ত্রাসীদের দমন করা হয়েছে।

এছাড়া অন্যসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীদেরও পরাজিত করতেও দেশটির সামরিক বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান আসাদ।

এসময় সন্ত্রাসী সংগঠন সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের দায়ী করেন। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই রাশিয়া সিরীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্য করছে বলে উল্লেখ করেন সিরীয় প্রেসিডেন্ট।


আরো সংবাদ



premium cement