ফিলিস্তিন সমস্যার যৌক্তিক সমাধান গণভোট : খামেনি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ জুন ২০১৮, ১০:২৮
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল খামেনি বলেছেন, প্রকৃত ফিলিস্তিনিদের অংশগ্রহণে গণভোট আয়োজনই হচ্ছে ফিলিস্তিন সমস্যার যৌক্তিক সমাধান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা রোববার সন্ধ্যায় দেশের প্রখ্যাত গবেষক ও অধ্যাপকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বিশ্বের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পন্থা অর্থাৎ জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। অন্তত ৮০ বছর ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে বংশ পরম্পরায় যারা বসবাস করেছে তাদের অংশগ্রহণে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। ফিলিস্তিনের ভেতরে ও বাইরে থাকা মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিস্টানসহ সব প্রকৃত ফিলিস্তিনি এ গণভোটে তাদের মতামত দেবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ফিলিস্তিনের সব প্রকৃত নাগরিকের অংশগ্রহণে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব ইরানের উদ্যোগে জাতিসঙ্ঘে উত্থাপন ও তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, এটা কি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাহলে কেন ইউরোপীয়রা তা মানতে রাজি নয়?
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বর্তমান যুগের শিমার হিসেবে উল্লেখ করে খামেনি বলেন, নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইউরোপ সফরে গিয়ে নিজেদেরকে মজলুম হিসেবে তুলে ধরে দাবি করেছে ইরান লাখ লাখ ইহুদিকে ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু ইরান যে সমাধানের পন্থা বাতলে দিয়েছে তা হলো সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং গণতান্ত্রিক নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
তিনি ইউরোপীয় সরকারগুলোর সমালোচনা করে বলেন, ইউরোপীয়রা নেতানিয়াহুর অভিযোগ শুনেছে আর মাথা নেড়েছে। কিন্তু তারা একবারও বলেনি, (নেতানিয়াহু) তোমরাইতো গাজা ও জেরুসালেমে এ ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছ।
সন্ত্রাসীদের কাছে শিয়া-সুন্নির কোনো পার্থক্য নেই, বেসামরিক মানুষই তাদের টার্গেট : খামেনি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেছেন, আমেরিকা এখন সন্ত্রাসীদেরকে আফগানিস্তানে পাঠাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা এ অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতিকে যৌক্তিক ও বৈধ হিসেবে তুলে ধরতে চায়। একইসাথে ইসরাইলের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে চায় তারা।
ফিকাহ শাস্ত্র সংক্রান্ত উচ্চতর ক্লাসে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, গত কয়েক মাসে দায়েশ আফগানিস্তানে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। যারা দায়েশ সৃষ্টি করে সেটাকে সিরিয়া ও ইরাকের জনগণের ওপর জুলুম ও নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করেছে তারাই আজ মধ্যপ্রাচ্যে পরাজিত হওয়ার পর দায়েশকে আফগানিস্তানে পাঠাচ্ছে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেন, মার্কিন সমর্থিত সন্ত্রাসীদের কাছে শিয়া-সুন্নির কোনো পার্থক্য নেই। শিয়া-সুন্নিসহ বেসামরিক মানুষ তাদের টার্গেট। আমেরিকা এ অঞ্চলের মানুষের ভালো দেখতে চায় না। তারা এখানকার সরকার ও জাতিগুলোকে সব সময় ব্যস্ত রাখতে চায় যাতে তারা ইহুদিবাদের মোকাবিলা করতে না পারে।
তিনি বলেন, মার্কিন উপস্থিতিই আফগানিস্তানে অনিরাপত্তার মূল কারণ। গত ২০ বছর ধরে ধর্মের নামে যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সেসবের পেছনে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে মার্কিনীদের হাত ছিল। এখনও তারা অনিরাপত্তা সৃষ্টির মাধ্যমে সেখানে নিজেদের সামরিক উপস্থিতিকে যৌক্তিক হিসেবে তুলে ধরতে চায়। তারা এর মাধ্যমে আর্থ-রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা