২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিমানবন্দরের ক্ষতিপূরণের টাকা

-

আমাদেরসহ পাশের কয়েকটি গ্রামের জমি বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর ক্ষতিপূরণের জন্য কাগজপত্র দেয়ার পরও অযথা বিলম্ব ঘটছে। দূর-দূরান্ত থেকে বাগেরহাট এলএ অফিসে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট অফিসারকে পাওয়া যায় না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দুর্নীতির ব্যাপারে কঠোরতার কারণে এ অফিস অন্যপথ অবলম্বন করছে। ক্ষতিপূরণের চেক চূড়ান্ত হলে জমিমালিককে গোপনে ডেকে বলা হচ্ছে, উৎকোচের টাকা আগেভাগেই গোপনে দিতে হবে এবং পরে চেক হস্তান্তর করা হবে। এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, অধিগ্রহণের ব্যাপারে ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন গুণ টাকা দেয়া হবে। এখন বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির জন্য দেড় গুণ দেয়া হচ্ছে। দরিদ্র গ্রামবাসীর এই জমি চিরতরে চলে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জমির মূল্যায়নের বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। অধিগ্রহণকৃত সব মৌজা অপেক্ষা আমাদের হোগলডাঙ্গা মৌজার সরকারি মূল্যমান কম; এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আবেদন রইল নজর দেয়ার। ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে, বাগেরহাট এলএ অফিসের ‘চাহিদা’ মোতাবেক ৬ শতাংশ করে বিপুল অর্থ নেয়া হয়েছে এবং বাকিদের থেকেও নেয়া হবে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যত কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, আল্লাহ তায়ালার বিচার থেকে কেউ রেহাই পাবে না।
হোগলডাঙ্গা গ্রামবাসীর পক্ষে
মো: আবু জাফর শেখ
রামপাল, বাগেরহাট।


আরো সংবাদ



premium cement