ধূমপান প্রতিরোধ ও বাস্তবতা
- ১৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে এই সমস্যা সমূলে উৎপাটন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই গ্রেফতার এবং জেল-জরিমানা করা হচ্ছে মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের। বাস্তবতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মাদক সেবনের হাতেখড়ি বিড়ি বা সিগারেট দিয়ে। কৈশোর না পেরোতেই সিগারেটের মতো ভয়ঙ্কর নেশায় আসক্ত হয়ে গেছে অনেকে। সিগারেট দিয়ে শুরু করে পরে ইয়াবা, মদ, গাঁজা, ফেনসিডিলের মতো ভয়ঙ্কর মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগাড় না হলে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির মতো আত্মঘাতী পেশায় নিজেকে বিসর্জন দিচ্ছে।
আবার ধূমপানকে একধরনের ‘স্মার্টনেস’ হিসেবে ধরে নিচ্ছে অনেকে। একাকিত্ব, দুশ্চিন্তা, একঘেয়েমি দূর করতে ধূমপানকেই ‘একমাত্র উপায়’ হিসেবে বেছে নিচ্ছে তারা! তবে বিড়ি বা সিগারেটকে ‘মাদক’ বলতে নারাজ এর সেবনকারী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ফলে প্রশাসনের কোনো বাধা ছাড়াই দেশের সর্বত্র এর সহজলভ্যতা রয়েছে। এমনকি ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ক্যান্টিনেও সিগারেট বিক্রি হয়, যেখানে রোগীর এক বড় অংশই ধূমপানে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রশাসনও ধূমপান প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না। যেখানে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সেখানে যে সিগারেটের হাত ধরে শিশু-কিশোর থেকে যুবা-বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই মাদকে জড়িয়ে পড়ছে; সেই সিগারেটের বিরুদ্ধেই নেই কোনো কঠোর আইন বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। প্রতি বছর এর দাম বাড়িয়ে আর প্যাকেটের ওপর সতর্কবাণী লিখে কর্তব্য শেষ করা যায় না। এ সমস্যা সমাধানে প্রথমে এটিকে মাদক বলে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং সহজলভ্যতা দূর করে প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।
সেফাতুল করিম প্রান্ত
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা