২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাদক সেবন প্রতিরোধে প্রয়োজন

-

তরুণ সমাজ দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। দেশ ও জাতি গঠনে তরুণ সমাজের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। দেশ যখনই ক্রান্তিকালে পড়েছে এগিয়ে এসেছে তারা। উদ্ধার করেছে দেশ ও জাতিকে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ সব আন্দোলনে আলোকবর্তিকা হয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছে তরুণরা। দেশকে উন্নতির স্বর্ণশিখরে আরোহণ করাতে হলে অবশ্যই তারুণ্যের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। তরুণসমাজের মেধা ও মনন ধ্বংস করার জন্য আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মাদক। এটা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সামাজিক সমস্যা। এটা ভালো মানুষকে পাগলের স্তরে নিয়ে যায়, সুস্থ-সবল ব্যক্তিকে অসুস্থ ও দুর্বল করে দেয়; চরিত্রবানকে করে চরিত্রহীন। মাদকের কারণে নৈতিকতার বিপর্যয় এবং মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে। এর কারণে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ছে অপরাধপ্রবণতা। প্রতিদিনের সংবাদপত্র খুললেই যেসব খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই ও রাহাজানির খবর পাওয়া যায় এর বেশির ভাগের সাথে জড়িত মাদকাসক্তরাই। আর এই মাদকের কারণে প্রতি বছর দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে দেশ বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। একজন মাদকসেবীই পুরো সমাজের অস্থিরতা ও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অবস্থায় যারা এর সাথে সম্পৃক্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে পরিবেশই অনেকাংশে দায়ী। নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেÑ এটা দেশের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। মাদক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ১৫ বছর পর দেশে মাদকমুক্ত তরুণ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে। আইন প্রয়োগ করে মাদক ব্যবসায়ের লাগাম কিছুটা টেনে ধরা গেলেও মাদক সেবনের লাগাম টানা যায়নি। এর জন্য প্রয়োজন সচেতন সমাজ ও পরিবার। তাদের খেয়াল রাখতে হবে নিজেদের কোনো সদস্য মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে কি না। মাদকসেবীদের চেনার বিভিন্ন উপায় আছে। যেমনÑ অস্বাভাবিকভাবে শরীরের ওজন কমে যাওয়া, চোখ লাল, খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে, পছন্দের কাজ বা খেলাধুলা থেকে বিরত থাকা, ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখা, কলেজ-ভার্সিটি বন্ধ হলেও বাড়িতে না আসা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, অযথা ঝগড়া প্রভৃতি। এই আলামতগুলো কারো থাকলে তার দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবার কিংবা সমাজ যদি বুঝতে পারে যে তাদের সন্তান মাদকাসক্ত তাহলে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্ভব হলে বুঝিয়ে বিরত রাখতে হবে কিংবা ‘রিহ্যাবে’ দিতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। একজন মাদকসেবীই পুরো সমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সমাজ সুস্থ না হলে সুস্থ জাতীয় জীবনও আশা করা যায় না। ফলে অনাচার, ব্যভিচার, দ্বন্দ্ব ও সঙ্ঘাত লেগেই থাকবে। সমাজ ও দেশের উন্নতির জন্য মাদকদ্রব্য সেবন নিবারণ করা অপরিহার্য।
রিফাত মাহদী , শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে হিট স্ট্রোকে মরিচ ব্যবসায়ীর মৃত্যু প্রধানমন্ত্রী ৬ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন রায়গঞ্জে পাটভর্তি ট্রাকে আগুন জামালপুরে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ৪৬তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার আসন বিন্যাস প্রকাশ ছোট দেশ কাতার অর্থনীতি ও কূটনীতিতে যেভাবে এত এগোল আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীর হামলায় আহত নারীর মৃত্যু ‘মুসলিমদের সম্পদ পুনর্বণ্টন’ অভিযোগ মোদির, এফআইআর সিপিএমের প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিখ্যাত চালকবিহীনবিমানের আবিষ্কারক কটিয়াদীতে আসছেন গাজার গণকবরের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন’ তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের

সকল