প্রধানমন্ত্রী সমীপে
- ১৩ মার্চ ২০১৯, ০০:০০
আমি সৈয়দ লিয়াকত আলী, পিতা মরহুম সৈয়দ আশরাফ আলী, গ্রাম-খায়েরহাট, থানা-কাশিয়ানী, জেলা-গোপালগঞ্জ। সৌদি এম্বাসি, ঢাকায় প্রায় ১২ বছর চাকরি করার পর এক বছর হলো অবসর নিয়েছি। একটি খ্যাতনামা কোম্পানির দু’জন টিএসএম পিছে পিছে ঘুরে ব্যবসার লোভ দেখিয়ে আমাকে দিয়ে কোম্পানির ফ্রুটো ও বেভারেজ গ্রুপের ডিলারশিপ নেয়ায়। রাজধানীর মিরপুর ১২, ১১, ১০ নম্বর সেকশন, কাজীপাড়া, শেওড়া পাড়া, এসব এলাকা মিলে গত ৩০ জুলাই ২০১৭ থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডিলার ছিলাম। এতে আমার পেনশনের প্রায় আট লাখ টাকা ক্যাশ হারিয়েছি। এর সম্ভাব্য করণ, এক. খরচের পরিধি আয়ের থেকে বেশি বাড়ানোটা বুঝে উঠতে না পারা। টিএসএম যেভাবে বলেছেন, সেভাবে করেছি। দুই. কোটে আমার টাকা জমা দিয়ে বেশি বিক্রি দেখিয়ে বা অন্য পয়েন্ট থেকে মাল এনে আমার পয়েন্টের রানিং মাল থেকে টাকা বের করে নেয়া। তিন. ডিসপ্লে যা এসেছে, যে মাসে এসেছে, তার চেয়ে বেশি বের হওয়া। চার. বিক্রি বাড়ানোর জন্য বাকি দেয়া। পাঁচ. গোডাউনের বাইরে থেকে মাল আনা যা ড্যামিজে বা অচল মাল হিসেবে পড়ে থাকে। ছয়. কর্মচারীদের কারো কারো অসততা। সবটাই আমার বোকামির ফসল। ব্যবসা না বুঝে করা ঠিক হয়নি। পেনশনের সব টাকা হারিয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে অসহনীয় জীবনযাপন করছি। বিশাল কোম্পানির বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহসও আমার নেই। কিছু ক্ষতিপূরণ পেলে শেষ জীবনের এই সময়টায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারতাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার বয়স আর আপনার ছোট ভাই রাসেলের বয়স একই। ছোট ভাই মনে করে যাতে কিছু টাকা পাই, সে ব্যবস্থা করতে আজ্ঞা হয়।
সৈয়দ লিয়াকত আলী
সাবেক কর্মকর্তা, সৌদি এম্বাসি, ঢাকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা