১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মধুপুর গড়ের পরিবেশ বিপন্ন

-

খাদ্যের অভাবে ও বিপন্ন পরিবেশের কারণে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের প্রাকৃতিক শালবনের বন্যপ্রাণীরা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত বন উজাড়, শালবন ধ্বংস করে বিদেশী বৃক্ষরোপণ, ফসলে ক্ষতিকর কীটনাশক প্রয়োগ, আবাসস্থলের সঙ্কট এবং মানুষের অপরিণামদর্শিতায় মধুপুর বনের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার পথে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, প্রাণীর নিরাপদ আবাস, শিক্ষা-গবেষণা ও চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যে ১৯৬২ সালে মধুপুর গড়ের কিছু অংশকে ‘জাতীয় উদ্যান’ ঘোষণা করেছিল সরকার। প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উর্বর মাটির কারণে এ উদ্যানে ছোট উদ্ভিদ, ঘাস ও লতাগুল্ম প্রচুর জন্মে। গাছগাছালি ও পর্যাপ্ত খাদ্যের সংস্থান থাকায় সেখানে সহজে বন্যপ্রাণী জীবন ধারণ করতে পারে। নিরাপদ আবাসস্থলের কারণে একসময় এটা ছিল বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ আবাস। কিন্তু বনখেকো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে এবং বন বিভাগের উদাসীনতায় দিন দিন বনভূমি উজাড় হচ্ছে। তদুপরি বিদেশী প্রজাতির বৃক্ষরোপণের ফলে বাসস্থান ও খাদ্যের অভাবে প্রাণীকূল আরো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং নানা নিয়ম-কানুন থাকলেও কার্যত তেমন প্রয়োগ নেই। আমাদের যেটুকু সবুজ বেস্টনি আছে, তা রক্ষা করতে হবে অবশ্যই। মধুপুরের প্রাকৃতিক শালবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাহেদুর রহমান ইকবাল, ৫৫, পুরানা পল্টন, ঢাকা

 


আরো সংবাদ



premium cement