১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সামাজিক সংগঠনের ভূমিকা

-

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সামগ্রিক আলোচনায় এটা প্রতীয়মান, দেশের সমাজ কাঠামোর আমূল পরিবর্তনে সামাজিক সংগঠনের বিকল্প নেই। সুশিক্ষিত নবীন প্রজন্ম এবং আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের স্বার্থে স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্রীয় যতগুলো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার অনেকগুলোই গ্রামবাংলার ক্ষেত্রে তেমন সফলতার ছাপ রাখতে পারেনি। ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর তরুণসমাজ অবক্ষয়ের পথে ধাবিত। এ অবস্থায় সচেতন ছাত্ররা গড়ে তুলেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, যার মূল লক্ষ্য বিপথগামী তরুণদের স্কুলমুখী, বাল্যবিয়ে রোধ, কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা, সামাজিক কুসংস্কার রুখে বৃক্ষরোপণ করা, উচ্চশিক্ষার প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ানো ইত্যাদি। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য এসব স্বপ্রণোদিত সামাজিক কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এসব সংগঠনের কর্মীরা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি দেশপ্রেম জাগ্রত করে তোলে। সুশিক্ষিত নতুন প্রজন্ম, দায়িত্বশীল সমাজ আর নিরক্ষরমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করাই এসব সংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্যে।
সরকারের উচিত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ফান্ড গঠন করে সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা। এতে তারা উৎসাহিত হবে এবং তাদের কাজের গতি বাড়বে। এভাবেই আমরা পেতে পারি একটি সুশিক্ষিত জাতি।
আমিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 


আরো সংবাদ



premium cement