২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীকে বলছি

-

জার্নি বাই ট্রেন। কাস সিক্স-সেভেনে আমাদের প্রিয় একটি ইংলিশ প্রবন্ধ ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে প্রবন্ধে যা লিখেছি বাস্তবে তার ১০ ভাগও নেই। বলা যায় রেলভ্রমণে সিলেট বিভাগের যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তির শিকার। দূরপাল্লার যাত্রায় একসময় রেল নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের বাহন হলেও বর্তমানে সিলেটের যাত্রীদের জন্য রেলে ভ্রমণ অনেকটা বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। কিন্তু রেল বিভাগ ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে নানা আধুনিকায়ন আর নতুন নতুন ট্রেন সংযোজন করলেও সিলেট রুটের ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন বলে মনে হচ্ছে। এতে সিলেটবাসী ফুঁসে উঠছে। আমি বিগত ফেব্রুয়ারি মাসে পাহাড়িকা ট্রেনে চট্টগ্রাম যাই। এসি কারের টিকিট নিলেও ট্রেনে উঠে দেখি গাড়ির এসি নষ্ট। পুরো ট্রেনে হকার অবাধে যাতায়াত করছে। টিকিট না করেও অনেক যাত্রী উঠে সিলেটের যাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে নানাভাবে ডিস্টার্ব করছে। আর যাত্রাপথে ট্রেনের অনেক অনির্ধারিত যাত্রাবিরতিও দেখলাম। সবচেয়ে আশ্চর্য হলাম আমি শ্রীমঙ্গল থেকে বেলা ১টায় ট্রেনে উঠলেও ফেনী যাওয়ার পর ঢাকা থেকে ৩টায় ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন আমাদের পেছনে রেখে চট্টগ্রাম চলে গেল। আমাদের অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সম্ভবত তার শেষ বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এর মানে তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন। আমি আশা করব তিনি রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার আগে সিলেটবাসীর জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে দু’টি নতুন বিরতিহীন ট্রেন সংযোজন করবেন। নিরাপদ করবেন সিলেটবাসীর ট্রেনযাত্রা।
আল্লাহ তাকে হায়াত দান করুন, আমিন।
আব্দুল বাছিত বাচ্চু, চেয়ারম্যান হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার

 


আরো সংবাদ



premium cement