২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আষাঢ়-শ্রাবণে বৃক্ষরোপণ

-

আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বৃষ্টির মাস। এটাই গাছ লাগানোর উৎকৃষ্ট সময়। প্রবল বৃষ্টিপাতের সময় গাছ রোপণ করলে টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গাছ শুধু রোপণ করলেই হবে না; সঠিকভাবে যতœ করতে হবে। পর্যাপ্ত গাছ থাকলে দেশের পরিবেশ ও অক্সিজেন খুব বিশুদ্ধ থাকে, দেশ অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায়। মাটির ক্ষয় ও ভাঙন রোধ করে এই বৃক্ষ। তা ছাড়া গাছ লাগানোর মাধ্যমে নেকি বা সওয়াব অর্জন করা যায়। এটা একধরনের ইবাদতের মধ্যে পড়ে।
বিশ্ব আজ বিরূপ আবহাওয়ার মুখোমুখি। এ বিষয় নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা। ধনী আর গরিব সব রাষ্ট্রই এ জন্য উদ্বিগ্ন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে চলছে আলোচনা, পরিকল্পনাসহ জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা। পরিবেশ মানবজাতির অনুকূলে রাখা আজ চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই গাছ লাগানোর বিকল্প কোনো পদক্ষেপ আর হতে পারে না। সবাই অন্তত একটি করে হলেও গাছ লাগানো দরকার।
গাছ লাগানোর পাশাপাশি গাছ কাটার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। গাছই এ পরিবেশের প্রাণ। গাছগাছালি আর লতাপাতা আল্লাহ তালার এক বিশেষ নেয়ামত। মূল্যবান কাঠগাছের পাশাপাশি ফলদ গাছ রোপণ করা উচিত। কারণ বাজারের কেনা ফলে কেমিক্যালের ভয় থাকে। তাই নিজের লাগানো গাছ থেকে তৃপ্তি নিয়ে ফল খাওয়া যায়, তেমনি নিরাপদও থাকা যায়। শহরে বড় বড় অট্টালিকার আশপাশজুড়ে কয়েকটি গাছের জন্য জায়গা রেখে নকশা করা উচিত। গাছের পরিচর্যাও করা জরুরি। এতে যান্ত্রিক জীবনে কিছুটা হলেও প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়া যাবে। সবাই মিলে এ বসতিকে সবুজে সবুজে ভরে নিই। পৃথিবীর বুকে নিজেদের দেশকে এক টুকরো সবুজের বাগান করে তুলি। এ বসতি আমাদের সবার, তাই এ বসতিকে ভালো রাখার দায়িত্ব সবার সমান। গাছই হোক পরিবেশ পরিবর্তনের জাদুকরী ছোঁয়া। আসুন, আষাঢ়-শ্রাবণে বেশি বেশি গাছ লাগাই।
কাজী সুলতানুল আরেফিন
অৎবভরহ.ভবহর৯৯@মসধরষ.পড়স


আরো সংবাদ



premium cement