১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বায়ু দূষণ রোধে হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা

বায়ু দূষণ রোধে হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা - ছবি : সংগ্রহ

রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে ৯ দফা সুপারিশ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঢাকায় বায়ু দূষণ রোধ করা যাচ্ছে না কেন এবং বায়ু দূষণরোধে কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তা জানাতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে তলব ককরা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলবে পাশাপাশি বায়ু দূষণরোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহণ করতে হবে।
২. যে সব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাকটররা তা ঢেকে রাখবে।

৩. এছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশ ছিল, সে নির্দেশ অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনো পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিং যেসব কাজ চলছে, যেসব কাজ যেন আইন কানুন এবং চুক্তির টার্মস এন্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ।

৫. গাড়ির কলো ধোয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে।

৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ।

৭. যেসব উটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।

৮.পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধের নির্দেশ।

৯.মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি কর্পোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ।

এই ৯ দফা নির্দেশনার পাশাপাশি ২ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে এবং ১ মার্চের মধ্যে সব বিবাদীকে ওই ৯ দফা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ছিলেন সাইদ আহমেদ রাজা। আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, নির্মল বায়ু ও পরিবেশ রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংকের ৩ শ' কোটি টাকার যে প্রকল্প ছিল সেটি পরিবেশ অধিদপ্তর কিভাবে ব্যয় করেছেন। পরিবেশ উন্নয়নে কী ধরনের ভূমিকা রেখেছে। এতে জনগণ কী ধরনে সুফল পাচ্ছে অর্থাৎ পুরো প্রকল্পের টাকা কিভাবে ব্যয় হয়েছে তা সবিস্তারে ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদফরের ডিজিকে তলব করেছেন আদালত।


আরো সংবাদ



premium cement