ডেসনিটির চেয়ারম্যান ও এমডির জামিন বিষয়ে আদেশ মঙ্গলবার

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিনের ব্যাপারে আগামী মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানাবে আপিল বিভাগ।

রবিবার তাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।

খুরশীদ আলম বলেন, ‘ডেসটিনি তাদের গাছ বিক্রি করে টাকা দেবেন, এমন শর্তে আপিল বিভাগ ২০১৬ সালের নভেম্বরে তাদের দুজনকে জামিন দিয়েছিল। এ শর্ত সংশোধন চেয়ে তারা ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সে আবেদন ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়। এখন তারা আবার জামিন চাইলেন। কিন্তু কোনো শর্ত পূরণ করলেন না। আমরা আবেদন খারিজ করার আর্জি জানিয়েছি।’

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা করে দুদক। বর্তমানে এ মামলায় দুজনই কারাগারে রয়েছেন।

২০১৬ সালের ২০ জুলাই শর্তসাপেক্ষে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনে তা স্থগিত করে দেয় আপিল বিভাগ। এ আবেদনের শুনানির এক পর্যায়ে আত্মসাৎ করা টাকা জমা দেয়ার কথা বলে সর্বোচ্চ আদালত। সে অনুসারে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ডেসনিটির পক্ষ থেকে গাছ বিক্রি করে টাকা দেয়ার কথা বলা হয়।

ওই দিন হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানানো হয় যে, তাদের কাছে ৩৫ লাখ গাছ আছে। প্রতিটি গাছ আট হাজার টাকায় বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দিতে পারবেন তারা। এ পরিপ্রেক্ষিতে জামিনের শর্ত পূরণে আপিল বিভাগ দুই আসামি যে কারাগারে আছেন সেখানে তাদের সাথে গাছ বিক্রির সব কাগজপত্রে স্বাক্ষর ও আলোচনার সুযোগ দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।

তখন জানানো হয় ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যান্টেশনের সিইও ড. শামসুল হক ভূঁইয়ার তত্ত্বাবধানে সব কাজ সম্পন্ন হবে। কিন্তু কয়েক মাস পরে তারা এ আদেশের সংশোধন চেয়ে আবেদন করেন। তারা কারাগারে থাকায় এ শর্ত পূরণ সম্ভব হচ্ছে না বলে আবেদনে দাবি করেন। পরে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর আপিল বিভাগ সংশোধন চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেয়। সূত্র : ইউএনবি