২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বুড়িগঙ্গায় সুয়ারেজ লাইন সরাতে ওয়াসাকে ৬ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট

বুড়িগঙ্গায় সুয়ারেজ লাইন সরাতে ৬ মাস সময় পেলো ওয়াসা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়া ওয়াসার সকল সুয়ারেজ লাইন সরাতে ঢাকা ওয়াসাকে ৬ মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওয়াসার ৬ মাস সময় চেয়ে করা আবেদনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। এই আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে আগামী একমাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বুড়িগঙ্গায় পড়া সুয়ারেজ লাইন সরাতে ৬ মাস সময় চেয়ে ওয়াসার করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। গতকাল ওয়াসার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন অ্যাডভোকটে উম্মে সালমা। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।

এদিকে বুড়িগঙ্গায় ঢাকা ওয়াসার কোনো সুয়ারেজ পতিত হয়নি বলে গত ১৮ জুন ওয়াসার পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দেয়া অসত্য তথ্যের জন্য হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি)। তবে আদালত এ আবেদন রেখে দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, সুয়ারেজ লাইন সরানোর ওপর নির্ভর করে এবিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।

এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া বুড়িগঙ্গার দুই তীরে গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বর্জ বুড়িগঙ্গায় পড়ছে সেইসব প্রতিষ্ঠান আগামী একমাসের মধ্যে বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে সংশ্লিষ্ট্র প্রতিষ্ঠানের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালত আগামী ৮ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

গত ১৮ জুন ওয়াসার দেয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গায় ওয়াসার কোনো সুয়ারেজ লাইন নেই। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গায় ৬৭টি স্থান দিয়ে বর্জ্য পড়ছে। তারমধ্যে ওয়াসার লাইন ১৬টি। ওয়াসার এই দুই ধরণের প্রতিবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এ অবস্থায় ওয়াসা ওইদিন তাদের ২ ডিসেম্বর দেয়া প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নেয় এবং রোববার নতুন করে জবাব দাখিল করে। এই জবাবে ১৮ জুনের প্রতিবেদনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে সুয়ারেজ লাইন সরাতে ৬ মাস সময় চাওয়া হয়। এ প্রেক্ষাপটে আদালত উল্লেখিত আদেশ দেন।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট মামলায় হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এছাড়া নদীর পানি যাতে দুষিত না হয় সেজন্য সব ধরণের বর্জ্য ফেলা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এই রায়ের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে তরল বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে। যা নদীর পানিকে দূষিত করছে। যা এইচআরপিবি’র পক্ষ থেকে আদালতের নজরে আনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement