২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ক্যাসিনো : মেনন-হুইপ শামশুল-পর্যটন সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ

ক্যাসিনো নিয়ে আইনী নোটিশ করা হয়েছে মেননসহ পাঁচজনকে - নয়া দিগন্ত

রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে এক সংসদ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা, জুয়া ও ক্যাসিনো নিয়ে এক হুইপের বক্তব্য এবং বিদেশীদের জন্য ক্যাসিনোর ব্যবস্থা নিয়ে পর্যটন সচিবের মন্তব্য নিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো: ইউনুছ আলী আকন্দ।

সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামশুল হক চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বরাবরে এ নোটিশ পাঠান।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নোটিশের জবাব না পেলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

নোটিশে সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদ ও পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট-১৮৬৭ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

এছাড়া পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের ৩, ৪ এবং ১৩ ধারা অনুসারে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পরে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার জুয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু সেটা এখনো করেনি সরকার। ফলে সারাদেশে জুয়া, ক্যাসিনো প্রভাব বিস্তার করেছে। সে জন্য অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে, মানিলন্ডারিং হচ্ছে। ইদানিং সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যাদের কিছু কিছু সংশ্লিষ্টতা আছে তাদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু যারা গডফাদার তাদের গ্রেফতার করছে না।

‘পত্রপত্রিকায় এসেছে রাশেদ খান মেনন ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির সভাপতি। তিনি লাল ফিতা কেটে উদ্বোধন করেছেন। এবং তার ছবি সেই চেয়ারম্যান কক্ষে আছে। তার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গতকাল মিডিয়ায় দেখেছি পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সচিব বলেছেন বিদেশীদের জন্য ক্যাসিনোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। এ বক্তব্য অসাংবিধানিক। এছাড়া একজন হুইপ মিডিয়ায় জুয়া বা ক্যাসিনো বন্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ক্লাব কিভাবে চলবে। এখন কথা হচ্ছে অবৈধভাবে উপার্জন করে ক্লাব চলবে?’

তিনি বলেন, এ অবস্থায় লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। এ বিষয়গুলো যে মিডিয়ায় দেখা যায় তা কতটুকু সত্য এগুলোর বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চেয়েছি। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নেয়া হবে মিডিয়ায় যা এসেছে তা সত্য এবং ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করবো।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement