২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এটিএম আজহারের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সোমবার পর্যন্ত মুলতবী

-

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস চেয়ে আপিল আবেদনের ওপর শুনানিতে তার বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আগামী সোমবার পর্যন্ত মুলতবী করা হয়েছে।

আজ বুধবার রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার বক্তব্য অসমাপ্ত অবস্থায় আজ মুলতবী করা হয়। আজ তিনি সাক্ষীগণের জবানবন্দী জেরা বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

আজ এটিএম আজহারের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শিশির মুনীর।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির এ বেঞ্চে আসামিপক্ষে প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন তুহিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আর এর মাধ্যমে শেষ হয় আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।

এটিএম আজহারের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টায় রাষ্ট্রপক্ষে অসমাপ্ত অবস্থায় আজ বুধবার আবার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য রাখেন আদালত।

গতকাল যুক্তি উপস্থাপনকালে এটিএম আজহারের আইনজীবীরার বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন ’৭১ সালের গণহত্যা, ধর্ষণ নির্যাতন, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের সাথে এটিএম আজহার জড়িত মর্মে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আইনজীবীরা আরো বলেন, যে তিনটি চার্জে এটিএম আজহারকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে তার মধ্যে ২নং চার্জে দুজন সাক্ষী বলেছে ৬ কিলোমিটার ও সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। আর ৪নং চার্জের সাক্ষী বলেছেন, তিনি ও এটিএম আজহার একই ক্লাসে পড়তেন। কিন্তু ডকুমেন্ট থেকে দেখা যায় এটিএম আজহার আর্সের ছাত্র এবং সাক্ষী সাইন্সের ছাত্র ছিলেন। আর তাদের দুই জনের সেকশন ভিন্ন ছিল। এছাড়া ৫নং চার্জে রাষ্ট্রপক্ষের ১নং সাক্ষী বলেছে, তার কোনো সন্তান ছিল না। কিন্তু ডকুমেন্টে দেখা যাচ্ছে তার ৬ জন সন্তান ছিল। অপর দিকে চার্জ-৬ এর ঘটনা ঘটে ’৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু সাক্ষী বলেছে ঘটনা ঘটে ’৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

এর আগে সোমবার যুক্তি উপস্থাপনকালে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, এই ঘটনার প্রধান নায়ক বর্বর পাকিস্তান আর্মি। তাদের মধ্য থেকে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তদন্তের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়েছিল। তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে দীর্ঘদিন পর সহযোগী আসামি হিসেবে এই আসামির বিচার ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

গত ১৮ জুন এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিলো। এর আগে গত ১০ এপ্রিল শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটিএম আজহারকে মৃত্যুদ- দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে এটিএম আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
আদমদীঘিতে ২৩০ চালকল বন্ধ : বেকার ৭ হাজার শ্রমিক সাকিবে উজ্জীবিত বাংলাদেশের লক্ষ্য সিরিজে সমতা কুলাউড়ায় জঙ্গল থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার ঈদগাঁওতে মাদককারবারি গ্রেফতার শিক্ষায় ব্যাঘাত : ফেসবুক-টিকটক-ইনস্টাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে ২৯০ কোটি ডলারের মামলা আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী

সকল