পারসোনা ও ফারজানা শাকিলসকে ৩৬ লাখ টাকা জরিমানা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ মে ২০১৯, ১০:০০, আপডেট: ৩১ মে ২০১৯, ১০:২২
বর্তমান সময়ে রূপচর্চার প্রতি মানুষের আগ্রহ এমনিতেই বেশি। এর সাথে যদি যোগ হয় বিশেষ কোন উৎসব তা হলে তো কথাই নেই। এক্ষেত্রে পছন্দের তালিকায় থাকে নামী ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এখন আর নামী ব্রান্ড হলেই নিশ্চিতে থাকার কোন সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশের রূপচর্চার অভিজাত দুই প্রতিষ্ঠান ‘পারসোনা’ ও ফারজানা শাকিলস মেকওভার সেলুনকে মোট ৩৬ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে। আমদানি তথ্যবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ব্যবহার করায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডি এলাকায় পারসোনার দুটি আউটলেটে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এছাড়া গুলশানে পারসোনার আরেকটি আউটলেটকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গুলশানে ফারজানা শাকিলস মেকওয়ার সেলুনকেও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করে একই আদালত।
পারসোনাকে জরিমানা করার পর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেছেন, ‘পারসোনার মতো একটি প্রতিষ্ঠানে মানুষ বিশ্বাস করে যায়, তাদেরকে সেই বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’
রোজার ঈদের আগে বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক সংলগ্ন এলাকায় রূপচর্চার প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এই অভিযানেই পারসোনা এডামস পার্লার ও পারসোনা বিউটি পার্লারে যায় তারা।
মনজুর শাহরিয়ার বলেন, তারা পারসোনায় বিপুল পরিমাণ প্রসাধন পণ্য পান, যেগুলোতে আমদানিকারকের সিল কিংবা অন্য কোনো তথ্য ছিল না। কোন দেশের তৈরি, তাও লেখা ছিল না।
‘তাদের পণ্যগুলোর কোনো জবাবদিহিতা নেই। এটা হয় অবৈধ অথবা নকল পণ্য। সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্স দেওয়ার কোনো তথ্য নেই। এগুলো ভেজাল না কি নকল, তারা সেটা প্রমাণ করতে পারেনি।’
ভোক্তার স্বার্থহানির জন্য পারসোনা এডামস পার্লার ও পারসোনা বিউটি পার্লারকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। এবিষয়ে পারসোনা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে শাহরিয়ার বলেন, পারসোনা কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ‘তারা স্বীকার করেছে, তারা ৫০ শতাংশ ঠিক হয়েছে। কিন্তু আরও ৫০ শতাংশ সংশোধনের বাকি।’
ওই এলাকায় আলভিরাস বিউটি পার্লারকেও তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আলভিরাস বিউটি পারলারের সমস্যাও পারসোনার মতোই। তাদের পণ্যগুলোর একটির গায়েও কোনো আমদানি তথ্য নেই।’
তবে আলভিরাসের ব্যবস্থাপক দাবি করেন, তাদের অধিকাংশ পণ্যের গায়েই আমদানি তথ্য রয়েছে। কিছু কিছু পণ্যের গায়ে আমদানি তথ্য ‘যোগ করা সম্ভব হয়নি’। মনজুর শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এই অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল ও আফরোজা রহমান অংশ নেন।
গুলশান এলাকায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলে নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে। সেখানে পারসোনা ও ফারজানা শাকিলসের আউটলেটে আমদানি তথ্যবিহীন প্রসাধন পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যও পাওয়া যায় বলে জানান র্যাবের নির্বাহী হাকিম।
সারওয়ার আলম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ কসমেটিকস উদ্ধার করা হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পর তাদের ১৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করে নগদে তা আদায় করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা