২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হত্যাকাণ্ডের ১০ দিনের মধ্যে সুরতহাল-ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

-

হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিলের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতের এই আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও আইজি প্রিজনকে পাঠাতে বলা হয়েছে।

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের একটি জোড়া খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুর দাস মন্ডল আদালতের তলবে হাজির হন। তিনি ওই মামলার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার পর হাইকোর্ট উক্ত আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ জানান, গত ৬ মে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের জোড়া খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুর দাস মন্ডলকে তলব করেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশের পরেও ওই মামলার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় তাকে তলব করেন আদালত।

মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম ফকিরের জামিন শুনানিকালে গত ১৩ মে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত বছরের ১ অক্টোবর দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদারকে (৫২) বাড়ি থেকে ও যুবলীগ নেতা শুকুর আলী শেখকে (৪০) দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ সময় আনছার আলী দিহিদারের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীরা।

ঘটনার কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তন থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদেরকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া আলাদা দুটি মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরপর জোড়া খুনের ঘটনায় হত্যা মামলাসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুয়াল ফকির, চৌকিদার আবুল শেখ, জুলহাস ডাকুয়া ও কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর জামিন চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন জানান মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ফকির। কিন্তু নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আসামি শহিদুল ইসলাম ফকির।


আরো সংবাদ



premium cement
দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার নওগাঁ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত বান্দরবানে কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পেনশন স্কিম পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দেশে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে না : ডিসি নারায়ণগঞ্জ

সকল