২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বায়ুদূষণের রোধের ব্যাখ্যায় আবারো হাইকোর্টের অসন্তোষ

ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ঢাকাকে বসবাসে উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে, মশার বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ
-

আদালতের আদেশ সত্ত্বেও রাজধানী ঢাকায় বায়ু দূষণরোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলো আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে যথাযথভাবে উঠে না আসায় আবারো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আদালত মশার বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ নেয়ার নিদেশ দিয়ে বলেন, ২০ তলায়ও মশা পাওয়া যায়।

এছাড়া দিনে দুই বার রাস্তায় পানি ছিটানো হয় কি না তা মনিটর করতে বলেন।

একইসাথে আগামী ২৬ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে পুনরায় অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান দুই নির্বাহীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা সিটির করপোরেশনের প্রধান দুই নির্বাহীর ব্যাখ্যা শেষে বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আর আদালতের তলব আদশের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিতে হাজির হয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো: আব্দুল হাই এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজুল রহমান। তাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী ড. নুরুন্নাহার নুপুর।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা পরিমাপ করে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। যার ধারাবাহিকতায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিলো। কিন্তু বায়ুদূষণ রোধের উপযুক্ত জবাব ওই প্রতিবেদনে না উঠে আসায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি আদালত। তাই গত ৫ মে ঢাকার দুই সিটির প্রধান নির্বাহীকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ তারা আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু আদালত সে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে তাদেরকে পুনরায় অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে সময় দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

সে রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুল জারির পাশাপাশি বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তবর্তীকালীন আদেশও দেন। ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানীর যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে যেসব এলাকা ঘেরাও করে পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়াও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে উক্ত আদেশ পালন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। যার ধারাবাহিকতা মামলাটি পুনরায় শুনানিকালে আদালত রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে আদেশ দেন।

এরপর গত ১৩ মার্চ ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা পরিমাপ করে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement