১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শনিবার কুমিল্লায় যাবেন মির্জা ফখরুল

শনিবার কুমিল্লায় যাবেন মির্জা ফখরুল - সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনদের খোঁজ নিতে কুমিল্লায় যাবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি শনিবার সকাল ৮টায় রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হবেন। যাত্রাপথে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের নির্বাচনী এলাকার কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) মোকাম ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ হাসানের কবর জিয়ারত করবেন।

এছাড়া তিনি ওই এলাকায় বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে খোঁজ খবর নিবেন বলে জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল রোববার বাংলা নববর্ষের রাতে বগুড়া উপশহর এলাকায় নিহত হন বগুড়া সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন। তার পরিবারের খোঁজ নিতে গত বৃহস্পতিবার বগুড়ায় গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। এভাবে পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের খোঁজ নিতে দলের কেন্দ্রীয় ও সিনিয়র নেতারা যাবেন বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন : সরকার চাইলেও বিএনপিকে শেষ করতে পারবে না : ফখরুল
নয়া দিগন্ত অনলাইন ১৯ এপ্রিল ২০১৯

খালেদা জিয়ার রাজনীতি মানুষের জন্য মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এবং খালেদা জিয়া এ দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে। সে জন্য সরকার চাইলেও বিএনপিকে শেষ করতে পারবে না।

শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

‘খালেদা জিয়া: তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শিরোনামে বইটি লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদার। বইটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজক শত নাগরিক কমিটি।

বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে আটক রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি নেতাকর্মীদের হতাশ না হয়ে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বারবার চেষ্টা করেছে বিএনপিকে ভেঙে ফেলার। বারবার চেষ্টা হয়েছে নিশ্চিহ্ন করার। আজকে খালেদা জিয়া একটি মাত্র কারণে কারাগারে যে, বিএনপিকে নিঃশেষ করে দেয়া। রাজনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া এবং খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া।

দলের নেতাকর্মীদের দৃঢ় মনোবলে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হতাশ হবেন না। হতাশার কথা শুনতে চাই না। বিএনপি নিঃশেষ হয়ে যায়নি। বিএনপি অতীতেও প্রতিটি সংকটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এবারও ঘুরে দাঁড়াবে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।'

দলের নেতাকর্মীদের হতাশার কথা না বলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা কখনও হতাশ হবেন না, হতাশার কথা শুনবেন না এবং হতাশার কথা বলবেনও না। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের নেত্রী জেলে থাকুন আর বাইরে থাকুন, তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা, তিনিই নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে আমরা নববর্ষের দিন দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি এতটাই অসুস্থ যে, বিছানা থেকে উঠতে সাহায্য নিতে হয়। তার পরও তিনি এতটুকু মনোবল হারাননি। সে মনোবল নিয়েই আমাদের মাতাকে মুক্ত করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

এ সময় প্রকাশনা উৎসবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বইয়ের লেখক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement