২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘ইউএনওর কি ক্ষমতা আছে প্রকৌশলীকে হাতকড়া পরানোর?’

- ছবি : সংগৃহীত

আইন অমান্য করে উপজেলা প্রকৌশলীকে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন হবিগঞ্জের বাহুবলের ইউএনও জসীম উদ্দিন। আগামী ২৪ এপ্রিল তাকে আবারও হাজির হতে হবে।

আজ বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে হাজির হন ওই ইউএনও। আদালত তাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, সরকারের এক বিভাগের কর্মচারীদের সাথে আরেক বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। যদি না থাকে তাহলে সরকারই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

আদালত বলেন, ভুল বুঝাবুঝি ঠিক আছে, কিন্তু ইউএনওর কি ক্ষমতা আছে প্রকৌশলীকে হাত করা পরানোর?

শুনানিতে ইউএনওর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, ভুল বুঝাবুঝির প্রেক্ষিতে ওই ঘটনা ঘটেছিল।

এ সময় প্রকৌশলীর আইনজীবী সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, উনি পিয়ন হওয়ারও যোগ্য নয়। সে কি জমিদার? তাকে শাস্তি পেতে হবে। আদালত বলেন, সে তো হাতকরা পড়াতে পারে না।

এর আগে গত ১৩ মার্চ আইন অমান্য করে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হাতকড়া পরানোর অভিযোগে ওই উপজেলা ইউএনও জসীম উদ্দিনকে তলব করেন হাইকোর্ট।

এছাড়া প্রকৌশলীকে হাতকড়া পরানো ও গ্রেফতার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

‘বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলীকে হাতকড়া পরানো’ ‘ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী আইন ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযুক্ত হওয়ার আগে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতারের বিধান নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. আবু জাকির সেকান্দার। অথচ আইন অমান্য করে ৬ মার্চ বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হাতকড়া পরিয়েছিলেন ইউএনও জসীম উদ্দিন। ইউএনওর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলীরা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট তলব করেন।


আরো সংবাদ



premium cement