২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এটিএম আজহার ও সৈয়দ কায়সারের আপিল কার্যতালিকায়

এটিএম আজহার ও সৈয়দ কায়সারের আপিল কার্যতালিকায় - ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ও সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোঃ কায়সারের খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বুধবারের কার্যতালিকায় এটিএম আজহারুল ইসলাম ও সৈয়দ মোঃ কায়সারের আপিল আবেদন আদেশের জন্য এক ও দুই নম্বরে রয়েছে। একইসঙ্গে শুনানি মুলতবি চেয়েও তাদের পক্ষে আবেদন করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর দেয়া মুত্যুদণ্ডের সাজা থেকে খালাস চেয়ে ১১৩ টি যুক্ত দেখিয়ে এটিএম আজহার আপিল আবেদন করেন। আবেদনের সঙ্গে সাতটি খন্ডে ২৩৪০ পৃষ্ঠার দলিল দস্তাবেজ জমা দেয়া হয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতে দোষী সাব্যস্ত করে তিনটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুটি অভিযোগে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।

২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের পৃথক ছয়টি ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সর্বমোট ১৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

২০১২ সালের ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারস্থ নিজ বাসা থেকে এটিএম আজহারকে গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

অন্যদিকে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সৈয়দ মোঃ কায়সার ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ৫৬টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিল আবেদন দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর সৈয়দ মোঃ কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের পৃথক ১৬ টি অভিযোগের ঘটনার মধ্যে ১৪টিতে দোষীসাব্যস্ত করা হয়।

এর মধ্যে সাতটি অভিযোগে ঘটনায় পৃথক পৃথকভাবে প্রত্যেকটিতে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। চারটি অভিযোগের ঘটনায় আলাদাভাবে প্রত্যেকটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অপর তিনটি অভিযোগে ২২ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রমানিত না হওয়ায় অপর দুটি অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

সৈয়দ কায়সার ১৯৪০ সালের ১৯ জুন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি কনভেনশন মুসলিম লীগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি ১৯৭৯ সালে সিলেট-১৭ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন এবং কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।

২০১৩ সালের ১৫ মে কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ২১ মে তাকে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২

সকল