২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ ব্যাংকের বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি : নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সম্পাদক

-

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর ছবি না ছাপানোয় ইতিহাস বিকৃতি’র ঘটনায় ওই গ্রন্থের সম্পাদক শুভঙ্কর সাহা হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করে দেয়।

আজ শুনানির শুরুতেই আদালত গ্রন্থের সম্পাদক শুভঙ্কর সাহার কাছে জানতে চায় এ ঘটনা কিভাবে ঘটল? তখন শুভঙ্কর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বই প্রকাশে একটি টিম দায়িত্বে ছিলেন। বইয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান, ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক রিলেটেড বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি না পাওয়ায় বইয়ে বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি দেয়া হয়নি। এইজন্য আমি আদালতের কাছে পুরো টিমের পক্ষে ক্ষমা চাচ্ছি।

তখন আদালত বলেন, ‘আইয়ুব খান, মোনায়েম খানকে বইতে হাইলাইট করলেন অথচ বঙ্গবন্ধুর একটা ছবিও পেলেন না?’ শুভঙ্কর সাহা বলেন, বইতে আইয়ুব খানকে স্বৈরাচার হিসেবেই অ্যাখ্যায়িত করা হয়েছে। তারপরও বঙ্গবন্ধুর ছবি না দেয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে আবারো নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি।

আদালতে রিটকারী আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন আদালতের কাছে বলেন, ক্ষমা চেয়ে ইতিহাস বিকৃতির দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।

আজ আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থের পুরাতন সংখ্যাগুলো কি পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন হলফ আকারে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে দাখিল করতে বলেছে। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

ইতিহাস বিকৃতি’র ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থের পুরাতন সকল সংখ্যা বাজার থেকে সরিয়ে ফেলতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসাথে ওই গ্রন্থের সম্পাদক শুভঙ্কর সাহাকে তলব করেন আদালত। আদালতে হাজির হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস গ্রন্থের পুরাতন সংখ্যায় বঙ্গবন্ধুর ছবি না ছাপানোর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার। ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যোবায়ের রহমান।


আরো সংবাদ



premium cement