২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১৪ বছর বয়সেই ইয়াবা ব্যবসায়ী এই কিশোরী 

১৪ বছর বয়সেই ইয়াবা ব্যবসায়ী এই কিশোরী  - নয়া দিগন্ত

সিদ্ধিরগঞ্জে তাহমিনা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীকে ৪০০ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর ২টায় সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকার এম.এস টাওয়ারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই কামরুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় অবস্থান করি। এ সময় বেলা ২টায় কিশোরী তাহমিনাকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করি। পরে তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কাছে ইয়াবা রয়েছে বলে সে স্বীকার করে। এসময় সে নিজে তার পরিহিত প্যান্টের পকেট থেকে ৪০০ পিছ ইয়াবা বের করে দেয়। 

তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ধৃত কিশোরী নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার লালপুর পৌসার পুকুর পাড় এলাকার আরিফ হোসেনের মেয়ে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মীর শাহিন শাহ্ পারভেজ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকা থেকে ৪০০ পিছ ইয়াবাসহ এক কিশোরীকে আটক করা হয়েছে। আমরা ধৃত কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এবং তার সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে কিশোর অপরাধ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

আরো পড়ুন :  নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে কিশোরী ধর্ষণ : ধর্ষক গ্রেফতার
গাজীপুর সংবাদদাতা (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি হোটেলে নেশাদ্রব্য খাইয়ে চাঞ্চল্যকর কিশোরী ধর্ষণকারী মামলার মূল আসামীকে সোমবার রাতে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক সাহাদাত হোসেন (৩৮) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মধুখালি গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন-কাশেম এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন পেরাব এলাকার হোটেল তাজমহল পিরামিড (রাজমনি পিরামিড) এ ১৬ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। উক্ত ঘটনাটি দেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় এবং সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন।


ওই মামলার প্রেক্ষিতে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল সোমবার রাত দেড়টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ ঘটনার মূল আসামী ধর্ষক সাহাদাতকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে র‌্যাবের নিকট ধর্ষণের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং গ্রেফতার এড়ানোর জন্য গাজীপুরে আত্মগোপন করেছিল বলে জানায়।

ঘটনার বর্ণনাতে সে জানায়, ২/৩ মাস পূর্বে জনৈকা মহিলা ভিকটিমের পারিবারিক দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিম কিশোরীকে সুমন নামে এক ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে ভিকটিমের সাথে উক্ত ব্যক্তির মধ্যে মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলতে থাকে। এরই মাঝে সাহাদাত উক্ত ভিকটিমকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করে।

ঘটনার পূর্বে সুমন নামের ব্যক্তি ভিকটিমকে গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরের পর দেখা করার জন্য বলে। কথানুযায়ী ভিকটিম দেখা করার উদ্দেশ্যে সোনারগাঁও থানাধীন পেরাব এলাকায় গেলে সাহাদাত নিজেকে সুমন পরিচয় দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমের সাথে দেখা করে। পরবর্তীতে সাহাদাত ভিকটিমের সরলতার সুযোগে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হোটেল তাজমহল পিরামিড (রাজমনি পিরামিড) এ নিয়ে যায়। পরে হোটেলে ভাড়াকৃত একটি কক্ষে ভিকটিমকে নিয়ে সাহাদাত কোমল পানীয় এবং জুসের সাথে উত্তেজক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করায় এবং জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ ও মারাত্মকভাবে জখম করে।


তাছাড়া সাহাদাত গোপনে ধর্ষণ ঘটনার একাংশ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং ধর্ষিতা তরুণীকে ভয় দেখিয়ে ঘটনা গোপন রাখার জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়। উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

বিয়ের প্রলোভনে কিশোরী ধর্ষণ
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতা, (১৭ জানুয়ারি ২০১৯)

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে এক বখাটে যুবক। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষকের নাম মোখলেছুর রহমান (২০)। এদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার খলাভাঙ্গা গ্রামের জামির উদ্দিন সপরিবারে নরসিংদীর একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। একই ভাটায় সপরিবারে কাজ করতেন প্রতিবেশি উপজেলা হালুয়াঘাটের মোকামিয়া গ্রামের দুলাল মিয়া। উভয় পরিবার সেখানে বসবাস করা অবস্থায় জামির উদ্দনের কিশোরী (১৪) কন্যার সাথে দুলাল মিয়ার ছেলে মোখলেছুরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

একপর্যায়ে ইটের মৌসুম শেষ হয়ে গেলে উভয় পরিবার বাড়িতে চলে আসে। এমতাবস্থায় গেল বছরের ৩ অক্টোবর ওই কিশোরীকে বিয়ে করার কথা বলে মোখলেছুর ভাগিয়ে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে রেখে ফুসলিয়ে অবৈধভাবে কিশোরীর সাথে একাধিকবার মেলামেশা করে। কয়েকদিন পর কিশোরীর খালাকে ফোন করে নিয়ে যেতে বললে ওই কিশোরীকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে।

পরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পিতা জামির উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর শেরপুর আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত নালিতাবাড়ী থানা পুলিশকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এরই প্রেক্ষিতে মামলাটি আমলে নেয় থানা পুলিশ। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সবুর ১৬ জানুয়ারি বুধবার জবানবন্দি গ্রহণের জন্য কিশোরীকে থানা হেফাজতে নেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সবুর ও নালিতাবাড়ী থানার ওসি আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement