২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়া অসুস্থ : ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসার আবেদন

বিএনপি
খালেদা জিয়া - ফাইল ছবি

অসুস্থতা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানোর সুযোগ চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ আবেদন করা হয়।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় আজ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এই নিয়ে আটবার তাকে কারা আদালতে হাজির করা হলো।

আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ মামলাটির অভিযোগ গঠনের ব্যাপারে শুনানি হয়।

খালেদা জিয়া আজ আদালতে কোনো কথা বলেননি। এ সময় তার সিনিয়র আইনজীবীরা তার সাথে দেখা করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়াকে শারীরিক জটিল সমস্যার মাঝেই চিকিৎসা শেষ না করে আবার জেলে ফেরত আনা হয়েছে।

এ সময় খালেদা জিয়াকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় চেকআপের অনুমতি চাওয়া হয় আদালতে।

আদালত খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে হাইকোর্টের আদেশের কপি জমা দিতে বলেন এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বলে জানান।

আজ এ মামলার অপর আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তার শুনানি শেষ করেন।

শুনানিকালে অপর আসামিরাও উপস্থিত ছিলেন।

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া গত এক বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এর আগে সাতবার তাকে কারা আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, ৮ নভেম্বর ও ১৪ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৩, ১৩ ও ২১ জানুয়ারি এবং ৪ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সাথে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

মামলার পরের বছরের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আসামি হলেন ১১ জন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো: শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।


আরো সংবাদ



premium cement