২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদার সাজার প্রতিবাদে আইনজীবীদের আদালত বর্জন : হাতাহাতি

আদালত
আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘিরে সরকার ও বিরোধী দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় সরকারসমর্থক আইনজীবীদের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে সমিতি ভবনের দুই দিকের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।

পরে বেলা পৌনে একটার দিকে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা আদালতে প্রবেশ করতে চাইলে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে প্রাঙ্গণে উপস্থিত সরকার ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের নেতৃত্বে রয়েছেন শ ম রেজাউল করিম ও ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন আজ (বুধবার) সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বর্জনের ঘোষণা দেন।

জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, চাপের মুখে পড়ে সরকারের কাছে মাথা নত করে বিচারক খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজা দিয়ে রায় দিয়েছেন। আদালতের উপর সরকারের হস্তক্ষেপ অব্যাহত থাকলে সারাদেশে বর্জন কর্মসূচি দেয়া হবে।

এদিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আদালত বর্জনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভগের কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়েছে। তবে আইনজীবীদের উপস্থিতি অন্যদিনের তুলনায় কম।

বিক্ষোভ চলাকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন দাবি করেন, সাধারণ আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আদালত বর্জন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। তারাই গেইটে তালা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বন্দুকের মুখে রেখে তাকে রায় দেওয়ানো হয়েছে। সরকারের চাপে মাথানত করে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর রায় দেওয়া হয়েছে। সরকার বিচারকি আদালতকে করায়ত্ব করেছে, উচ্চ আদালতকেও করায়ত্ব করার চেষ্টা করছে। বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে সারা দেশেই আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়া হবে।’

জয়নুল বলেন, ‘কাল রায় ঘোষণা করার সময় ওই আদালতের ডিএজি, এএজি ও সরকার সমর্থক আইনজীবী ছাড়া কোনো সাধারণ আইনজীবীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আদালতটি ঘিরে রেখেছিল। এটাই প্রমাণ করে চাপে মাথা নত করে এ রায় দেয়া হয়েছে।’

ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিকে রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আইনিভাবেই করতে হবে। আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত নয়। আদালত বর্জন করলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা করতে পারে। গেইটে তালা দিয়ে সাধারণ আইনজীবীদের তারা বাধ্য করতে পারে না। এ তালা ভাঙতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement