জানুয়ারিতে কোটা সংস্কারের আপিল শুনানি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২৬
সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কার চেয়ে রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য পুনরায় তারিখ নির্ধারণের জন্য মেনশন স্লিপ (মামলার বিষয় উল্লেখ করে) গ্রহণ করেননি আপিল বিভাগ। ফলে আবেদনটির বিষয়ে আগের নির্ধারিত তারিখ আগামী বছর ১৭ জানুয়ারি বহাল থাকছে।
রিটকারীদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে মেনশন স্লিপ জমা দেন রিটকারীদের আইনজীবী মোঃ এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
এ বিষয়ে পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কার চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তা শুনানির জন্য ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তারিখ নির্ধারণ করেন। তবে শুনানির সে তারিখ আরও এগিয়ে আনতে আজ (বুধবার) আপিল বিভাগে মেনশন স্লিপ জমা দেই। কিন্তু আপিল আদালত সেই স্লিপ গ্রহণ করেননি। ফলে আবেদনটি আগামী ১৭ জানুয়ারি শুনানি হবে।
গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিসুর রহমান মীর এবং ঢাকার কয়েকজন সাংবাদিক রিট আবেদনটি করেছিলেন। রিট আবেদনে বলা হয়েছিল, ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, আধা-সরকারি, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা এবং ১০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। সব মিলিয়ে শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা পদ্ধতি রয়েছে। বর্তমানে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী।
আরো পড়ুন : প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল
নয়া দিগন্ত অনলাইন ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:২৫
সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার/বাতিলে’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কমিটির রিপোর্ট মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। তিনটি সুপারিশ ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, কোটা বাতিল এবং কোটা বাতিলের ফলে বিদ্যমান জনগোষ্ঠীর বিষয়ে যথাপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।’
মন্ত্রিসভা সচিব কমিটির তিনটি সুপারিশই অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, ‘যদি কখনো অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য কোটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে সরকার তা করতে পারবে।’
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে কোটা বহাল আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজ-কালের মধ্যে আমরা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। আশা করছি দুই-তিন দিনের মধ্যে (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।’
সরকারি চাকরির নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোনো কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়।
ওই কমিটির সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার পর বুধবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে তোলা হয়।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কার চেয়ে কয়েক মাস আগে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। তাদের সেই আন্দোলন ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিই আর রাখা হবে না। তবে পরে সংসদে তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতি থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখতে হাই কোর্টের রায় আছে।
গত ২ জুন সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে সরকার।
সরকারি চাকরির নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোনো কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ জমা দেয় সচিব কমিটি।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার পর বুধবার তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হলে কোটা বাতিলের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা