২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার : আদেশ ২০ সেপ্টেম্বর

বিএনপি
ফাইল ছবি - নয়া দিগন্ত

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলা চলবে কি না সে বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

এদিকে, এ মামলা পরিচালনার জন্য খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়েছেন তার দুই আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত বলেছেন, তারা জেল কোড অনুযায়ী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার অনুমতি পাবেন।

আজো খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ একটি কাস্টরি ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আজ আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে অনিচ্ছুক এ কথার অর্থ হলো- তিনি গুরুতর অসুস্থ। তাই তিনি আদালতে হাজির হতে পারছেন না। আদালতের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এ মামলার অপর দুই আসামির ব্যাপারে শুনানির কথা বলেন। এ সময় অপর দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের আইনজীবীরা এর বিরোধীতা করেন।

পরে দুদকের আইনজীবী মামলা পরিচালনায় আসামিরা অসহযোগিতা করছে এমন অভিযোগ এনে আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে আদেশের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়েও আদেশের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন।

এর আগে গতকাল বুধবারের শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ আদালত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী হয়নি উল্লেখ করে আদালতকে জানান, এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে প্রধান বিচারপতির অনুমোদন ছাড়া এ আদালত বসানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে এখনো কিছু বলেননি।

ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় করাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে দুদকের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর পুরোনো কেন্দ্রীয় করাগারে স্থাপিত এই আদালতে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে আনা হয়। ওই দিন খালেদা জিয়া আদালতকে বলেছিলেন, তিনি খুবই অসুস্থ। তাই তার পক্ষে বার বার আদালতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়।

শুনানি শেষে আদালত ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।


আরো সংবাদ



premium cement