অবশেষে ১২ শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজিরের পর রিমান্ডে
- মোঃ শহীদুল্লাহ মিঞা
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:০৬, আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:২৪
তেজগাঁও ও মহাখালী থেকে আটক যে ১২ শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না তাদের আজ আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। ঢাকার সি.এম.এম আদালতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দায়ের করা পৃথক ২ মামলায় হাজির করে ৭ দিন করে রিমান্ড চায় পুলিশ। আপরদিকে আসামী পক্ষ রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
ঢাকার মহানগর হাকিম নুরুন নাহার ইয়াসমিন উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন নাকচ করে প্রত্যেককে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যাদের কে রিমান্ড দেয়া হয়েছে তারা হলোঃ তারেক আজিজ, মো. তারেক, জাহাঙ্গীর আলম, মো. মোজাহিদুল ইসলাম, মো. আল আমীন, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. বোরহান উদ্দিন, ইফতেখার আলম, মো. মেহেদী হাসান রাজিব, মো. মাহফুজ, মো. সাইফুল্লাহ ও মো. রায়হানুল আবেদিন।
আসামী পক্ষে আইনজীবিরা আদালতে বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর তারিখে মহাখালী ও তেজগাঁও এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে তাদের আটক করে নেয়া হয়। কিন্তু তারপর তারা কোথায় কিভাবে ছিল আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন-আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন জসিম, রোকন রেজা, শহিদুল ইসলামসহ বেশ কিছু আইনজীবী।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মহাখালী, তেজকুনিপাড়া ও বিজি প্রেস এলাকা থেকে ৩১ জনকে তুলে নিয়ে যায়। এক দিন পর ১২ জনকে আটকে রেখে বাকি শিক্ষার্থীদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এই আটকের বিষয়ে ডিবি অফিস থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবারকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
আরো পড়ুন :
শহিদুল আলমের জামিন আবেদন মঙ্গলবারের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমের জামিন আবেদন আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে নিস্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো: সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শহিদুল আলমের পক্ষে আজ আদালতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এ বিষয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলায় ৬ আগস্ট ঢাকা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন।
এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তবর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় হাইকোর্টে তাঁর জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। আজ আবেদনটি শুনানির পর আদালত আগামীকালের মধ্যে বিচাররিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেয় ডিবি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।
এরই মধ্যে শহিদুল আলমের সমর্থনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতী রায়সহ খ্যাতিমান একাধিক লেখক-বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেন।
পেন ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনও তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। সর্বশেষ আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা টিউলিপ সিদ্দিক। মঙ্গলবার ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য টাইমস’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা