২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকার জন্য ৩ মাস সময়

ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকার জন্য ৩ মাস - সংগৃহীত

ঢাকার সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

একই সাথে আদালত গুলশান শপিং সেন্টারের ৬ তলা ভবনের গ্যাস, ইলেকট্রি সিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ভবন কেন ধ্বংস করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা শহরের ঝুকিপূর্ণ বিল্ডিং সনাক্ত করে রাজউক, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট জুবায়দা গুলশান আরা। রাষ্টপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি প্রতিরোধ নির্বাপন আইন ২০০৩ এর আওতায় গুলশান শপিং সেন্টারকে ব্যবহার অনুপোযোগী ঘোষণা করা হয়। এ কারণে ওই ভবন ভাঙ্গার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ আগস্ট স্বদেশ নামে একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মোঃ হানিফ জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রাশনা ইমাম বলেন, গুলশান শপিং সেন্টার নিয়ে আজকে একটা রুল জারি হয়েছে। এই রুলে ঢাকা শহরে ঝুকিপূর্ণ বিল্ডিং সনাক্ত করে রাজউক, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ কেন নেওয়া হচ্ছে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে গুলশান শপিং সেন্টারের যে ৬ তলা ভবন আছে সেই ভবনের গ্যাস, ইলেকট্রি সিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ভবন কেন ধ্বংস করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল জারি করেছেন।
রুলের পাশাপাশি আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকা সিটির অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ভবন সনাক্ত করে আদালতের একটি তালিকা দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিসকে অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন।

আরো পড়ুন : ওষুধ প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে রোগীদের এত ভোগান্তি : হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক  (১৩ আগস্ট ২০১৮, ১৭:২৬)


ঔষধ প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে দেশে রোগীদের এত ভোগান্তি বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি (মহাপরিচালক) এর দেয়া প্রতিবেদনের আলোকে এমন মন্তব্য করেন আদালত। মামলায় জারি করা রুল শুনানি শেষ করার পরে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন ঠিক করেন।

আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ‘চোখ হারানো ২০ জনকে ক্ষতিপূরণ দেয়া সংক্রান্ত রুলের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইজীবী অমিত দাশগুপ্ত। ইম্প্যাক্ট এর পক্ষে ব্যারিস্টার এম. আমীর উল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। ঔষধ কম্পানির পক্ষে অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম।


আইনজীবী আইজীবী অমিত দাশগুপ্ত জানান, চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা প্রাপ্ত‘চোখ হারানো ২০ জনের প্রত্যেককে এক কোটি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২১ অক্টোবর রায় ঘোষণা করবেন আদালত।

তিনি আরো জানান, শুনানির এক পযায়ে ঔষধ প্রশাসনের ব্যার্থতার করণে দেশে রোগীদের এত ভোগান্তি বলে মন্তব্য করেছেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, চোখ অপারেশনে যে ঔষধ ব্যবহার হয়েছে ওই ঔষধের রেজিস্ট্রেশন (তালিকা ভুক্তি) করা যায়নি। প্রতিবেদনের এ তথ্য থাকায় আদালত ঔষধ প্রশাসনের ব্যার্থতা নিয়ে কথা বলেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন! শীর্ষক শিরোনামে ২৯ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য রুল জারি করেন। পরে ০১ এপ্রিল চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা প্রাপ্ত‘চোখ হারানো’ ২০জনকে প্রত্যেককে এক কোটি করে টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না’তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়ালকমুনিটি হেল্থ সেন্টারে তিন দিনের চক্ষু শিবিরের দ্বিতীয় দিন ৫ মার্চ ২৪ জননারী-পুরুষের চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেনচিকিৎসক মোহাম্মদ শাহীন। তবে, বাসায় ফিরেই ২০ জন রোগীর চোখেইনফেকশন দেখা দেয়।

এসব রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, ৫ মার্চ অপারেশনের পর ৬ মার্চ তাদের প্রত্যেককেই হাসপাতাল থেকেছাড়পত্র দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে ওই দিনই কারও বিকেলে, কারও সন্ধ্যায়,কারও বা রাত থেকে চোখে জ্বালা-যন্ত্রণা ও পানি ঝরতে শুরু করে। পর দিনই তারা যোগাযোগ করেন ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে। তাদের তখন গুরুত্ব না দিয়ে কোনো রকম চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু যন্ত্রণা অসহনীয় হয়ে উঠলে ফের তারা ইম্প্যাক্টে যান। সেখান থেকে তখন কয়েকজন রোগীকে স্থানীয় এক চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্থানীয় ওই চক্ষু বিশেষজ্ঞ তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এদের মধ্যে চারজন রোগী নিজেদের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্বজনদের নিয়ে ঢাকায় আসেন। পরে ইম্প্যাক্ট থেকে ১২ মার্চ একসঙ্গে, ১৬ জন রোগীকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ৫ মার্চের ওই অপারেশনের ফলেএদের চোখের এত ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে যে, ১৯ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়েছে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement