২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জামালপুরে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসমী শফিকুল ইসলাম (বৃত্ত চিহ্নিত), যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামী সুমন মিয়া, জিন্নাহ ও আবু সামা। ছবি - নয়া দিগন্ত।

জামালপুরে আজাহার আলী হত্যা মামলায় প্রধান আসামি শফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং আসামী সুমন মিয়া, জিন্নাহ ও আবু সামাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের দণ্ডিত করেছে আদালত। এছাড়াও অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি হালিমা বেগম ও হবিরন বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ এসএম জিল্লুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী শফিকুল ইসলাম জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সুমন মিয়া হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর ভাই, জিন্নাহ একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ও আবু সামা একই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত হালিমা বেগম আসামী জিন্নাহ’র স্ত্রী ও হবিরন বেগম হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর মাতা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ভাতিজা হাসান মাসুদ প্রতিবেশী সুমন মিয়াকে হিন্দি গানের একটি ক্যাসেট ধার দেন। ২০০২ সালের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে হাসান মাসুদ ওই ক্যাসেটটি ফেরত আনতে সুমন মিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সুমন মিয়া ও তার লোকজন হাসান মাসুদকে মারধর করে। হাসান মাসুদ বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বললে মামলার বাদী শাহাজাহান আলীর সহোদর ভাই আজাহার আলী ও পরিবারের লোকজন ঘটনা শুনতে সুমন মিয়াদের বাড়িতে গেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শফিকুল ইসলাম ও অন্যরা রামদা, কিরিচ ও গরু জবাই করার ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। এতে আজাহার আলী, তার বোন লেবুজা খাতুন ও স্বজনরা গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে আজাহার আলীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় পরদিন ২১ নভেম্বর মৃত আজাহার আলীর ভাই শাহজাহান আলী বাদী হয়ে শফিকুল ইসলামসহ সাতজনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ৩১ মার্চ ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম। পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারী দন্ডবিধির ৩০২/৩২৪/৩৪ ধারায় ওই সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জ/অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। বিচারকার্য চলাকালীন আসামি জাহাঙ্গীর আলম রূপচান মৃত্যুবরণ করায় ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় দায় থেকে আদালত তাকে অব্যাহতি প্রদান করেছে। বিচারকালে প্রসিকিউশনপক্ষ ১২জন সাক্ষীকে পরীক্ষার জন্য আদালতের সম্মুখে উপস্থাপন করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ওই রায় ঘোষণা করেন জামালপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ এসএম জিল্লুুর রহমান ।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম তারা এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী।


আরো সংবাদ



premium cement
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত বগুড়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে খুন জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস

সকল